'কৃষক দিবস' উপলক্ষে কৃষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে প্রাণ যায় বেশ কয়েকজনের। যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন কৃষিজীবী। সেই দিনটি স্মরণে রেখে ১৪ মার্চ 'কৃষক দিবস' হিসেবে পালন করে আসছে রাজ্য সরকার।
আজ ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রামে ২০০৭ সালের এই দিনে গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল নিরীহ বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন কৃষিজীবী। নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে এরপর ১৪ মার্চ দিনটি 'কৃষক দিবস' হিসেবে পালন করা শুরু করে রাজ্য সরকার। আজ এই বিশেষ দিনটিতে টুইটে কৃষক তাঁদের পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী এদিন লিখেছেন, ''২০০৭ সালে পুলিশের গুলিতে নিহত নন্দীগ্রামের নিরপরাধ সাহসী গ্রামবাসীদের স্মরণে এবং দেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কৃষকদের উৎসর্গ করার জন্য প্রতি বছর আমরা ১৪ মার্চ কৃষক দিবস হিসেবে পালন করি।''
আরও পড়ুন- ঝোপে লুকিয়েও হল না শেষ রক্ষা, পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে ধৃত দুষ্কৃতী
টুইটে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ''কৃষকরা আমাদের গর্ব। আমরা DBT-এর মাধ্যমে তাঁদের সাহায্য করছি। বর্ধিত উৎপাদন, উৎপাদিত পণ্যের ভালো বাজারজাতকরণ, ন্যায্য মূল্যে সরকারিভাবে সংগ্রহ, ফসল বীমা, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতির জন্য আর্থিক সহায়তা, পেনশন এবং অকালমৃত্যুর জন্য তাঁদের সমস্ত সহায়তা দিচ্ছি।''
পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে কৃষিতে এগিয়ে থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে একটি। একথা জানিয়ে এদিন টুইটে মুখ্যমন্ত্রী আরও লিখেছেন, ''আজ পশ্চিমবঙ্গ দেশের কৃষি উৎপাদনে শীর্ষ স্থানাধিকারীদের মধ্যে রয়েছে। আমাদের কৃষকদের আয় বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি। কৃষক দিবসে আমার সব কৃষক ভাই-বোন এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।''