আরও বাড়ল রাজ্য সরকারের তরফে ক্লাবগুলোকে পুজোর অনুদান। এবার অনুমোদিত বারোয়ারি দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বিদ্যুতের বিলেও মিলবে ৬০ শতাংশ ছাড়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে পুজোর প্রস্তুতি বৈঠকে এই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, এবছর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর ছুটি পাবেন রাজ্য সরকারের কর্মীরা।
কলকাতার দুর্গাপুজোকে বিরাট সম্মান দিয়েছে ইউনেস্কো। হেরিটেজ স্বীকৃতি উদযাপনে পুজোর একমাস আগে, অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর শহরে বিরাট মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে দিকে দিকে। এবার করোনার প্রভাব কম, তাই গত দুবছরের জমে থাকা আনন্দোৎসব এবার সুদে আসলে উপভোগ করতে প্রস্তুত বাঙালি।
সোমবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অনেকে বড় বড় কথা বলেন। কলকাতায় নাকি দুর্গাপুজো হয় না, সরস্বতী পুজো হয় না। আমি বলছি, এমন পুজো কোথাও হয় না। এখানে এক বছর ধরে পরিকল্পনা হয়। কে ভলান্টিয়ার হবেন, কে ফল কাটবেন, সব পরিকল্পনা করে রাখা হয়। এখন থিমের পুজো কোন ক্লাব কাকে দিয়ে করাবে, সে সব নিয়েও এক বছর ধরে পরিকল্পনা চলে।" বিজেপিকে এদিন নাম না করে তোপ দাগেন মমতা।
আরও পড়ুন এবার কি অনুদান বাড়াবে নবান্ন? সোমে পুজো প্রস্তুতির বৈঠকে বড় ঘোষণা করতে পারেন মমতা
এরপরই তিনি বলেন, "আমার ভাঁড়ারে কিন্তু টাকা নেই। কিন্তু আমি মনে করি, মা দুর্গা ভাঁড়ার পূর্ণ করবেন। তাই এবার পুজোর অনুদান ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬০ হাজার টাকা করে দিলাম। কী খুশি তো? বিদ্যুতের বিলে ছাড় ৬০ শতাংশ করে দিতে সিইএসসি, বিদ্যুৎ দফতরেকে অনুরোধ করলাম।" মমতার ঘোষণায় খুশির জোয়ার তখন নেতাজি ইন্ডোরে।
এবছর ৪৩ হাজার পুজো কমিটিতে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। বিদ্যু বিলেও ছাড় মিলবে। এর পাশাপাশি, ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতি উদযাপনে কলকাতায় বিরাট মিছিল হবে। পাশাপাশি জেলায় জেলায় হবে উদযাপন উৎসব। ১ সেপ্টেম্বর এই মিছিলের জন্য দুপুর একটার মধ্যে স্কুল-কলেজ-অফিস ছুটি হয়ে যাবে। একইসঙ্গে, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীরা ছুটি পাবেন, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।