প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এবার মহিলাদের সুরক্ষা আরও বাড়ল প্রশাসন। বাণিজ্যিক সরকারি, বেসরকারি গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বসানো হচ্ছে ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস (ভিএলটিডি)। কন্ট্রোলরুমে বসেই দেখা যাবে যে কোনও বাণিজ্যিক গাড়ির অবস্থান। মিলবে গাড়িটি সমন্ধে বিস্তারিত তথ্যও। পরিবহণ দফতর ও পুলিশের দায়িত্ব হবে এই অ্যাপটির মাধ্যমে অপরাধ রোখার।
এই প্রযুক্তিতে প্রত্যেক বাণিজ্যিক গাড়িতে থাকবে প্যানিক বোতাম। ফলে কোনও যাত্রী সমস্যায় পড়লে ওই বোতাম টিপলে সরাসরি তা কন্ট্রোল রুম জানতে পারবে। খবর যাবে পুলিশের কাছেও। ফলে দ্রুত স্থানীয় থানাকে তৎপর করা যাবে। নয়া প্রযুক্তিতে কন্ট্রোল দ্বারা লাইভ দেখা যাবে কোন গাড়ি কোথায় আছে। বাস, ট্যাক্সি, এবং ক্যাবের প্যানিক বোতামের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকছে ভিএলটিডি।
আপাতত ১০০০টি বাস, ট্যাক্সি, ক্যাবে ভেহিক্যাল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস বসানো হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে সব গাড়িই এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই প্রযুক্তি না হলে কোনও বাণিজ্যিক গাড়িই ফিট সার্টিফিকেট পাবে না।
নয়া পরিষেবার উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেছেন, 'পরিবহণ দফতর ও পুলিশ মিলে মা-বোনেদের নিরাপদ রাখার জন্য এই পরিষেবা চালু হল। কিছু দুষ্টু লোক তো সব জায়গায় আছে। এই অ্যাপের মধ্যে দিয়ে সব গাড়িকেই পুলিশ ও পরিবহণ দফতর লক্ষ্য রাখবে কোথাও কোনও মেয়েদের উপর কোনও অত্যাচার হচ্ছে কি না। কোনও কিছু গড়বড় হলেই প্যানিক বাটনটা বাজবে। পরিবহন দফতর ও পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে কানেক্টেড থাকবে।'
কলকাতা ছাড়াও শিলিগুড়ি, মালদা, আসানসোল, পশ্চিম মেদিনীপুরে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে।
নতুন অ্যাপের সূচনার সঙ্গেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরে মাল্টি লেভেল কার পার্কিংয়ের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পার্কিংটির নাম ‘সম্পন্ন’। ছ'তলের এই পার্কিং এরিয়ায় ৪০০ গাড়ি পার্ক করা যাবে। আলিপুর চিড়িয়াখানা সহ আশপাশের এলাকার যানজট দূর করতেই পূর্ত দফতরের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।