প্রশাসনিক বৈঠকে ফের রুদ্রমূর্তি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে থতমত খেয়ে গেলেন জেলাশাসক। ইটভাটা থেকে রাজস্বের টাকার হিসাব নেই। সরকারি কর্মীদের পকেটে চলে যাচ্ছে সরকারের টাকা। তা জানতে পেরে পুরুলিয়ার জেলাশাসকের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে তৃণমূলের এক নেতা দিদির কাছে নালিশ করেন, এলাকার ইটভাটা থেকে পাওয়া সরকারি টাকার হিসাব পাওয়া যায় না। কয়েকজনের পকেটে নাকি সেই টাকা ঢোকে। এই অভিযোগ শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন মমতা। সঙ্গে সঙ্গে জেলাশাসককে প্রশ্ন করেন মুখ্য়মন্ত্রী। বলেন, "ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা।"
মমতা আরও বলেন, "নিজেরা টাকাটা নেয়, নিজেরাই খেয়ে নেয়! কী জেলা চালাচ্ছো তুমি? এতদিন জেলায় আছ। আমার ধারণাই বদলে গেল! এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েক জন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে! আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাঁদের আমি সবসময় শাসন করি।"
আরও পড়ুন স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই পাচ্ছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা, অবাক-কাণ্ডের চর্চা সর্বত্র
জেলাশাসককে মমতার কড়া নির্দেশ, "আমি কথা বলছি, তোমার পুলিশ যাবে, তদন্ত করবে। একে বলে প্রশাসন, একে বলে কাজ। গরিব মানুষ যখন একটা কমপ্লেন করে, আমি নিতে পারি না। সে যে-ই হোক!" এদিন জেলাশাসকের উপর মমতার ক্ষোভ সরকারি মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রশাসনিক বৈঠকে এর আগেও আমলা-পুলিশকর্তাদের উপর খড়গহস্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভরা বৈঠকে তুলোধনা করেছেন। কিছুদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরে পূর্ত দফতরের উপর ফেটে পড়েন মমতা। বলেন, পিডব্লুডি-র এত খাই কেন, এত চাহিদা কেন, কাজ করাতে এত খরচ হচ্ছে কেন। তিনি জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন পূর্ত দফতরকে দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই। বরং এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ করানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।