GTA-র শপথ অনুষ্ঠানে শান্তির বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর। শান্তি থাকলে তবেই পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব, বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার পাহাড়ে GTA-এর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় পাহাড়ের উন্নয়নে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”আমরা বন্ধুত্ব চাই, ঝগড়া নয়। পাহাড়ের দখল নিতে আসব না। ভালোবাসতে আসব।”
একটা সময় দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ক্ষোভের আগুন জ্বলেছে পাহাড়ে। দিনের পর দিন ধরে বন্ধ থেকেছে পাহাড়ের দোকান, বাজার, রেস্তোরাঁ, হোটেল। এক কথায় পাহাড়ের উন্নয়নে কার্যত ফুলস্টপ পড়ে গিয়েছিল। দাঁড়ি পড়ে যেতে বসেছিল পাহাড়ের অর্থনীতিতে।
তবে সেসব এখন অতীত। রাজনৈতিক তিক্ততা ভুলে নির্বিঘ্নে পাহাড়ে GTA ভোট মিটেছে। এখন নতুন করে পাহাড় সাজানোর পালা। করোনার ফাঁড়া পেরিয়ে পর্যটকদেরও উপচে পড়া ভিড় পাহাড়ের কোনায়-কোনায়। পাহাড়ে শান্তির এই পরিবেশই বজায় থাক, এটাই চান মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- পাহাড় সাজাবেন মমতা, ঢালাও সাহায্যের আশ্বাস, GTA শপথে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী
GTA ভোটে পাহাড়ের কোথাও কোনও অশান্তির খবর মেলেনি। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ”এত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন কখনও দেখিনি। পাহেড়র শান্তির জন্যই GTA ভোট হয়েছে। পাহাড় যা পারে অনেকেই তা পারে না। পাহাড়ে শান্তি থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে।” এরপরেই তাঁর আবেদন, ”কারও কথায় পাহাড় অশান্ত হতে দেবেন না। আমরা বন্ধুত্ব চাই, ঝগড়া নয়। পাহাড়ের হাসি দেখতে চাই। পাহাড় এগিয়ে যাক।”
পাহাড়ের উন্নয়নে এদিন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেই প্রতিশ্রুতির সঙ্গেই আগাগোড়া তিনি দিয়ে গিয়েছেন শান্তির বার্তা। শান্তি না থাকলে পাহাড়ের উন্নয়নের গতি বারবার থমকে যাবে, বক্তৃতায় সেই আশঙ্কা শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও। পাহাড়বাসীকে আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আরও বলেন, ”কোনও ধান্দাবাজের কথায় পাহাড় অশান্ত হতে দেবেন না। আমরা বন্ধুত্ব চাই, ঝগড়া নয়। পাহাড়ের দখল নিতে আসব না। ভালোবাসতেই আসব।”