বুধবারই শপথগ্রহণ করেছেন বাংলার নয়া রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সেই শপথগ্রহণে উপস্থিত ছিলেন সপার্ষদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরদিনই রাজ্যপালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ মুখ্যমন্ত্রী। তাও আবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে। লক্ষ্মীবারে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে রাজ্যপালের ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল মমতার গলায়।
বুধবার রাজভবনে সি ভি আনন্দ বোস শপথ বাক্য পাঠ করার পর সৌজন্য বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের মন্ত্রী-বিধায়কদের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের প্রশংসা করেন মমতা। এদিন বিধানসভার অধিবেশন শেষে নিজের ঘর থেকে বেরিয়া যাচ্ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, নয়া রাজ্যপাল প্রসঙ্গে। তাতে মমতার উত্তর, নতুন রাজ্যপাল ভাল।
এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এসেছিলেন আনন্দ। তিনি রিপোর্টও জমা দেন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। কিন্তু সেই প্রসঙ্গ নিয়ে বিতর্কে এড়িয়ে যান বুধবার। বলেন, "আমার সেই রিপোর্ট ছিল নেহাতই পেশাদার। কোনও রাজনৈতিক নয়।"
আরও পড়ুন নিয়োগ জট চরমে, এবার বিধানসভার মাধ্যমে আদালতে বিরাট আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর!
প্রসঙ্গত, জগদীপ ধনকড় রাজ্যপাল থাকার সময়ে বারংবার মুখ্যমন্ত্রী এবং নবান্নের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতেন। প্রকাশ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলতেন। ধনকড়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর আদায়-কাঁচকলা সম্পর্ক দিল্লি পর্যন্ত সবারই জানা ছিল। কিন্তু পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটতে চাননি আনন্দ। বুধবার বলেন, "মতপার্থক্য গণতন্ত্রেরই অঙ্গ। বাংলার এমন মহান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যে কোনও বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারবে।"
এর ঠিক একদিন পরই রাজ্যপালের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে রাজ্যপালের প্রশংসা বাংলার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।