সরকারি প্রকল্পে বেশি টাকা খরচের অভিযোগ। এবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় পূর্ত দফতর। পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী পূর্ত দফতরের সমালোচনায় মুখর হলেন। দুটি গেট-কমিউনিটি হলের জন্য পূর্ত দফতর প্রকল্পের খরচ যা ধার্য করেছে তা শুনেই খেপে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা এদিন বলেন, পিডব্লুডি-র এত খাই কেন, এত চাহিদা কেন, কাজ করাতে এত খরচ হচ্ছে কেন। তিনি জেলাশাসক এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন পূর্ত দফতরকে দিয়ে সব কাজ করানোর দরকার নেই। বরং এইচআরবিসি-র ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে কাজ করানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। জেলা জেলায় সফরের প্রথমেই পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা। গড়বেতায় বেশ কিছু সরকারি প্রকল্পের অনুমোদন হলেও কাজ শেষ হয়নি কেন জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। গড়বেতায় বীরসিংহ গেট তৈরির কাজ কেন হয়নি তা নিয়ে জানতে চাইলে আধিকারিকরা বলেন, পূর্ত দফতরে আটকে রয়েছে। পূর্ত দফতরের আধিকারিক মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, দুটি গেট-কমিউনিটি হল-সহ অন্যান্য কাজের জন্য ৩০-৪০ কোটি টাকা লাগবে।
এই টাকার কথা শুনেই রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পিডব্লুডি-র এত খাই কেন, এত চাহিদা কেন, কাজ করাতে এত খরচ হচ্ছে কেন। ৪ কোটি টাকায় পুরো কাজ শেষ করতে হবে। ফিনান্স বিভাগ এত টাকার অনুমোদন দেবে না।”
আরও পড়ুন ইউক্রেন ফেরত পড়ুয়াদের নিয়ে এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত, বাংলার সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রক
এর পাশাপাশি খড়গপুরে দুষ্কৃতীর দৌরাত্ম্য নিয়ে পুলিশ সতর্ক করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “বিহার-ঝাড়খণ্ড সীমানা পেরিয়ে দুষ্কৃতীরা ঢুকছে। ২ হাজার টাকায় বন্দুক জোগাড় করে ফেলছে। তার পর অপরাধ করে পালিয়ে যাচ্ছে। কড়া নজর রাখতে হবে। নাকা চেকিং, রেল ইয়ার্ডে তল্লাশি চালাতে হবে।”