Mamata Banerjee-Tamluk: এবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সরকারি সভামঞ্চ থেকেই বিরোধীদের তীব্র নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রত্যাশিতভাবেই নাম না করে এদিন মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের তুমুল সমালোচনা করেছেন অধিকারী বাড়ির। দুর্নীতির দায়ও ঠেলেছেন তাঁদের উপরেই।
Mamata Banerjee: এবার খাস পূর্ব মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়েই নাম না করে অধিকারী পরিবারকে ঝাঁঝালো আক্রমণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'গদ্দাররাই সব থেকে বেশি টাকা খেয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি পূর্ব মেদিনীপুরেই।' ঠিক কোন কেলেঙ্কারির দায় তিনি নাম না করে অধিকারী পরিবারের দিকে ঠেললেন তা স্পষ্ট হয়নি। তবে তাঁর নিশানায় যে শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারীরাই ছিলেন তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি ওয়াকিবহাল মহলের।
Advertisment
কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
"গদ্দাররাই সব চেয়ে বেশি টাকা খেয়েছে। সাধুর বেশে শয়তানদের সম্মান করি না। গদ্দারবাবুরা জীবনে সবচেয়ে বেশি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি পূর্ব মেদিনীপুরেই। টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছিল কারা?" তমলুকের সরকারি সভা থেকে নাম না করে এভাবেই অধিকারী পরিবারকে নিশানা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কেন্দ্রীয় এজন্সিকে বরাবর নিশানা করতে ধোকা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর অবিযোগ, বিজেপি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে কাজে লাগায়। এদিন ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় সেই একই সুর। এপ্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, "ইন্টারভিউয়ে এজেন্সিই তো বলছে, 'আমাদের ভালো লাগে না, আমাদের BJP বলেছে তৃণমূলের বাড়ি যাও। কোথাও ED পাঠাচ্ছে কোথাও CBI পাঠাচ্ছে। বলছে তুই যদি বিজেপি জয়েন না করিস, তাহলে তোর বাড়িতে ED-CBI পাঠাব। নির্বাচন এলে মিথ্যা কথা বলে।"
এদিকে, বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় আজই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। 'তৃণমূল তাঁর জন্য নয়', বিধানসভায় ইস্তফা দিয়ে বেরনোর পর তাপস রায়ের মুখে একথাও শোনা গিয়েছে। তবে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীর এই পদত্যাগ ইস্যুতে একটি কথাও বলেননি।