করোনাকালে লকডাউনের জেরে দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের হাহাকার ভোলার নয়। পায়ে হেঁটে, রেললাইন ধরে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি ফেরার দৃশ্য এখনও শিহরণ জাগায়। বাংলার বহু মানুষ ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করেন। লকডাউনে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। আবার সংসার চালানোর তাগিদে ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন নতুন কাজের খোঁজে। রাজ্যে কাজ পাওয়ার সমস্যা রয়েইছে। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার উত্তরবঙ্গ সফর থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে সরব হয়েছেন মমতা। তাঁদের জন্য রাজ্যেই কর্মসংস্থানের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে তিনি বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যেই থাকুন। বাংলাতেই যাতে তাঁদের কাজের ব্যবস্থা করা যায় সেই জন্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যেই এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে যার সুবিধা নিতে পারবেন পরিযায়ী শ্রমিকরা।
প্রসঙ্গত, বাংলায় কাজের সমস্যা দীর্ঘদিনের। কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে ছোটেন শ্রমিকরা। বিধানসভা নির্বাচনের সময় এবং লকডাউনে বিরোধীরা সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে বার বার বিঁধেছে মমতা সরকারকে। কর্মসংস্থান নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে শাসকদলকে। এবার তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগী মমতা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাই এই ইস্যুতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, ব্যবস্থা নিতে।
আরও পড়ুন ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত’, BSF-এর এক্তিয়ার নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে ফুঁসে উঠলেন মমতা
এদিকে, বিএসএফ-এর ক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধানন্তে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংঘাতের পথে মমতা। মমতা বলেছেন, তিনি রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন। পাঞ্জাব সরকারও এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে।
মমতার কথায়, “আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের এক্তিয়ার। পাঞ্জাবের মতো আমরাও প্রতিবাদ করছি। আমাদের সীমান্ত এলাকা একেবারে শান্তিপূর্ণ। প্রত্যেক রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। আমাদের রাজ্যে আইন আছে, আর সেটাই মেনে চলব। যদি বিএসএফ ৫০ কিমি এলাকা নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়, তাহলে সমস্যার সৃষ্টি হবে।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন