কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উঠতেই শীতলকুচিতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করবেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। শনিবার চতুর্থ দফার ভোটে শীতলকুচির জোড়পাটকি গ্রামে ১২৬ নম্বর বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চারজনের। আহত হন আরও পাঁচজন। তার আগে ওইদিন সকালেই লাইনে দাঁড়ানো প্রথম বারের ভোটার আনন্দ বর্মণের মৃত্যু দুষ্কৃতীদের গুলিতে।
এই ঘটনার পরই অশান্তির আশঙ্কায় কোচবিহারে নেতা-নেত্রীদের ঢোকার ক্ষেত্রে ৭২ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। আজ, বুধবার সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এদিন সকালেই শীতলকুচিতে যাচ্ছেন মমতা। দেখা করবেন নিহতদের পরিবারের সঙ্গে। আহতেরা মাথাভাঙার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখানেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। নিহতদের পরিবারের লোকজনও হাসপাতাল চত্বরে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে।
শীতলকুচির তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে আহতদের দেখতে মাথাভাঙা হাসপাতালে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই আসবেন নিহতদের পরিজনরা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ফের প্রচারের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়বেন মুখ্যমন্ত্রী। দিদি যা বলেছিলেন, সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই আসছেন। শীতলকুচিতে আরও একজন নিহত হন। সেই আনন্দ বর্মণের পরিবার অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে নারাজ। মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা জগদীশ বর্মণ জেলা বিজেপির কার্যালয়ে বসে জানিয়েছেন, "আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাই না।"
জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে কলকাতা থেকে বিশেষ বিমানে বাগডোগরা যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে যাবেন মাথাভাঙায়। আহতদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ফের প্রচার কর্মসূচিতে ধূপগুড়ির উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।