বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সেই গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। গত বছর এই সময়েই বাংলা আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন আমফান। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় একাধিক জেলা। গত বছরের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতাকে মাথায় রেখে নবান্নের শীর্ষ কর্তাদের দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত বছর আমফান যেদিন আছড়ে পড়ে, সেদিন সারা রাত নবান্নে রাজ্য প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে আধিকারিকদের সঙ্গে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন মমতা। এবারও প্রয়োজনে সেই পথে হাঁটতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, বুধবার মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয় নবান্নে। সেই বৈঠকে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসনকে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আভাস সত্য়ি হলে, কলকাতা-সহ লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকা যেমন দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও মৌসম ভবনের তরফে ঘূর্ণিঝড়ের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। প্রশাসনিক আধিকারিকরা ঝড়ের গতিপথ ও গতিবেগ নিয়ে ধারণা রাখতে চাইছেন। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, উপকূলবর্তী সাইক্লোন সেন্টারগুলিকে আগাম প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, চলতি মাসের দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়ে এবার বিপর্যস্ত হতে পারে ভারতের পূর্ব উপকূল। ইতিমধ্যে তাওকতের শক্তিতে ধরাশায়ী মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কেরল, কর্ণাটক, গোয়ার মতো রাজ্যগুলো। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই এবার বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকুটি। মধ্য-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া অতি গভীর নিম্নচাপ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়ে রুপান্তরিত হতে পারে।
২২ মে-র মধ্যে সেই ঘূর্ণিঝড় আরও শক্তি বাড়িয়ে উত্তর আন্দামান সাগরে পৌঁছে যাবে। ধীরে ধীরে ২৪-২৬ মে’র মধ্যে ওড়িশা উপকুলে আছড়ে পড়তে পারে সেই ঝড়। বঙ্গোপসাগরে এই গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিলে তার নাম হবে 'ইয়াস'। ওমান এই নামকরণ করেছে।