বেহালা দুর্ঘটনায় খুদের মর্মান্তিক মৃত্যু ও অশান্তির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পুরো ঘটনার খোঁজ নিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে মুখ্যসচিবের সঙ্গে। কথা হয় কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের সঙ্গেও। লালবাজারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
শুক্রবার সকাল থেকেই অগ্নিগর্ভ বেহালা। বেলা বাড়তে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কলকাতা নগরপাল বিনীত গোয়েল। তিনি বলেছেন, 'ঘটনার সময় ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিলেন। তা সত্ত্বেও কেন এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও গাফিলতি ছিল কি না, সেটাও দেখা হবে। ভবিষ্যতে যাতে এধরণের ঘটনা আর না হয় তারই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।' বেহালার চৌরাস্তা মোড় বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘিরে থাকলেও চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
আরও পড়ুন- লরির ধাক্কায় খুদে পড়ুয়ার মৃত্যু, তুমুল বিক্ষোভ, গাড়ি-ভাঙচুর আগুন
জানা গিয়েছে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের নির্দেশে স্কুলে পৌঁছেছেন স্কুল শিক্ষা দফতরের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। মৃত পড়ুয়ার বাড়িতেও যাবেন আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সাড়ে এগারোটার ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা জানালে তাঁকে পরে সেখানে যেতে অনুরোধ করেছে কলকাতা পুলিশ।
দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র সৌরনীল সরকারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে উত্তপ্ত বেহালা চৌরাস্তা। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। জ্বালানো হয় পুলিশের গাড়ি, বাইক। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করে পুলিশ। কথায় কাজ না হওয়ায় লাঠিচার্জ করা হয়, ফাটানো হয় টিয়ার গ্যাসের সেল। আহত হন জয়েন্ট সিপি ট্রাফিক সহ পুলিশের বেশ কয়েকজন এবং আমজনতা। বেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় কলকাতা নগরপাল বিনীত গোয়েল ও কলকাতা পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা। তাঁদের সামনেও ক্ষোভে ফেটে পড়েন মানুষ। বেলায় তাঁদের সামনেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এদিকে ঘাতক লরিচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বাবলাতলা থেকে। বেহালার ঘটনাস্থল