Flood Like Situation on Bengal: দিল্লি ছাড়ার দিন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘রাজ্যে খুব বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।‘ তারপর প্রায় দিন চারেক পেরিয়েছে। নিম্নচাপের বৃষ্টির সঙ্গে জুড়েছে ডিভিসি-সহ বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়া। এই দুই মিলিয়ে প্লাবিত হাওড়া-হুগলী, পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক ব্লক। এক হাঁটু জলের তলায় হাওড়ার উদয় নারায়ণপুর, আমতা। একইভাবে প্লাবিত হুগলীর খানাকুলের একাধিক ব্লক।
নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার হাওড়া-হুগলীর প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি করতে পারেন প্রশাসনিক বৈঠক। প্লাবিত এলাকায় আটকদের উদ্ধারে এবং ত্রাণ সরবরাহে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিতে পারেন মমতা। মঙ্গলবার নৌকা করে খানাকুলের একাধিক ব্লক ঘুরে দেখেন শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না।
শনিবার থেকে দুর্গাপুর ব্যারেজ দফায় দফায় জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ও আমতায়। জলের তোড়ে এক কিশোরীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। উদয়নারায়ণপুরের প্রায় ৮৫টি গ্রাম জলমগ্ন। আমতার ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত। আমতা ১ নম্বর ব্লকের রসপুর এলাকাতেও জল ঢুকছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, দামোদর আর রূপনারায়ণের জল ঢুকেই এই বিপত্তি। হাওড়া-হুগলি সংগোযগাকীর রাজ্য সড়ক এখনও জলের তলায়। উদয়নারায়ণপুরে খোলা হয়েছে ৩৫টি ত্রাণশিবির। আমতার একাধিক ব্লকে পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু এবং মানুষকে এক ছাদের তলায় থাকতে হচ্ছে। আকশপথে কিছু ব্লকে চলছে উদ্ধারকাজ।
শুধু হাওড়া নয় পাশের জেলা হুগলির খানাকুলে বেশ কিছু জায়গায় জল আরও বেড়েছে। কিছু জায়গায় রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন। হুগলী গ্রামীণ এবং সদর দুই জায়গায় জল যন্ত্রণার চিত্র স্পষ্ট হয়েছে। খানাকুলের ৬০ থেকে ৬৫টি গ্রাম পুরোপুরি জলমগ্ন। খোলা হয়েছে ৮০টি ত্রাণশিবির। উঁচু রাস্তায় ত্রিপল খাটিয়ে রয়েছে অনেক পরিবার।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ঘাটাল শহর থেকে এখনও জল নামেনি। ফলে চরম ভোগান্তির মধ্যে সাধারণ মানুষ। নৌকায় করে যাতায়াত করেন অনেকে। জলমগ্ন ঘাটালের একাধিক ব্লক ঘুরে দেখা গিয়েছে, ট্রাক্টরের ওপর কেউ কেউ পরিবার নিয়ে রয়েছেন। উঁচু রাস্তার ওপর ত্রিপল খাটিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে। এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন