মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানেই চমক। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন দেখে এমন দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই চমকের অংশ হতে চলেছে রাজ্য বিধানসভা। সূত্রের খবর, এবার ভোট অন অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ রাজ্য বাজেট পেশ করবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যেহেতু আর কয়েক দিনের মধ্যে ঘোষিত হবে ভোটের নির্ঘণ্ট। তাই এই বাজেট পূর্ণাঙ্গ নয়, ভোট অন অ্যাকাউন্ট। দ্বিতীয় মা-মাটি-সরকারের ((TMC) শেষ বাজেট পেশও বটে। তাই সেই দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে অমিত মিত্রের বদলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করতে পারেন রাজ্য বাজেট। তৃণমূল সূত্রে খবর, সেই ঘোষণায় চমক দিতে পারেন দলের নেত্রী। এদিকে, রাজ্যকে এই বেনজির ঘটনার সাক্ষী করতে রাজভবনের অনুমতি চেয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
শুক্রবার দ্বিতীয় তৃণমূল সরকারের শেষ বাজেট। করোনা পরিস্থিতির জন্য অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে বাড়ির বাইরে না বেরনোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এই মুহূর্তে বিধানসভায় এসে বাজেট পেশে অপারগ তিনি। সে কারণেই বাজেট বক্তৃতা পেশের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজের ঘাড়ে তুলে নিতে পারেন। নবান্নে সূত্রের এমনটাই খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, অর্থমন্ত্রী নিজে রাজ্যপালের কাছে চিঠি লিখে বাজেট পেশ করার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। সেই আবেদন মঞ্জুরও হয়েছে বলে খবর। যদিও, বিধানসভার অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতা কে পেশ করবেন তা ঠিক করতে পারেন স্পিকারই। এক্ষেত্রে রাজ্যপালের অনুমোদনের প্রয়োজনই ছিল না। সাম্প্রতিক অতীতে জগদীপ ধনকড় বনাম নবান্ন সংঘাতের আবহে এই সৌজন্য বেনজির।
যদিও, এই সরকারই বেনজিরভাবে বাজেট অধিবেশনের আগে রাজ্যপালের ভাষণ বাতিল করেছিল।.সেই ১৯৬৩ সালের পর প্রথমবার বিধানসভায় বছরের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়েছে রাজ্যপালের ভাষণ ছাড়া। যা নিয়ে বিরোধী শিবিরও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। খোদ রাজ্যপালও টুইটারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এর আগে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে বাজেট পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী। তাঁর মন্ত্রিসভার অর্থমন্ত্রী মোররাজি দেসাই পদত্যাগ করায়। অর্থ মন্ত্রক নিজের কাছে রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সুত্রেই বাজেট পেশ।