Advertisment

‘যারা মামলা করছে তাঁরা সমাজবন্ধু?’ Upper Primary শিক্ষক নিয়োগ স্থগিতাদেশে ক্ষুব্ধ Mamata

Teachers’ Recruitment: এদিন কোর্টের অবস্থানকে সম্মান জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই।'

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mamata banerjee man made flood

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী। ফাইল ছবি

Teachers' Recruitment: চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলা হচ্ছে। বুধবার এভাবেই শিক্ষক নিয়োগে কোর্টের স্থগিতাদেশ প্রসঙ্গে উষ্মাপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মূলত, মামলাকারীদের এদিন একহাত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্য, ‘শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চলছে।‘ এদিন নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগে প্রায় ১৪ হাজার উচ্চ প্রাথমিক পদে শিক্ষক নিয়োগে স্থগিতাদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই ধার্য করা হয়েছে।

Advertisment

এই প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখনই শিক্ষক নিয়োগের বন্দোবস্ত করছে সরকার, তখনই মামলা করে দিচ্ছে। বিগত ৩-৪ বছর ধরে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।সব ঠিক হয়ে যাওয়ার পর আটকে দিচ্ছে।’ এদিন তাঁকে ক্ষোভ প্রকাশ দেখা গিয়েছে। নবান্নে উপস্থিত শিক্ষা দফতরের সচিবদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘দেখেছেন তো! সঙ্গে সঙ্গে করে দেবেন। একটু দেরি হলেই এই হচ্ছে।‘

এদিন কোর্টের অবস্থানকে সম্মান জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে কিছু বলার নেই। কারা এই সব মামলা করছে? এই মামলাগুলো কিছু হিংসুটে, কুচুটে রাজনৈতিক নেতা করছে। এরা কি সমাজের বন্ধু? এত ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত নিয়ে এভাবে খেলা উচিত নয়।’ খানিকটা ক্ষুব্ধ হয়েই মমতা বলেন,  ‘‘সাত বছর ধরে এই মামলা আদালতে ছিল। আদালতই তো নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ করেছি। তার পরও আবার মামলা হল।’’

মঙ্গলবারই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইটে উচ্চ প্রাথমিকের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে তার পরই মামলা দায়ের হয় আদালতে। তার ভিত্তিতেই বুধবার উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেই প্রসঙ্গেই মমতা বলেন, ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সাত বছর ধরে এই মামলা আদালতে ছিল। আদালতই তো নির্দেশ দিয়েছিল। সেই মতো আমরা পদক্ষেপ করেছি। তার পরও আবার মামলা হল।’’

এদিকে, মঙ্গলবার ধুমধাম করে ঘোষণা হয়েছিল পুজোর আগেই প্রাথমিক টেটের ফলপ্রকাশ। জুলাইয়ে তোলা হবে কাউন্সেলিং নির্ঘণ্ট। অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক উৎসবের মরশুমে শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু বুধবার ফের আইনি জটে বিশ বাঁও জলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে মাম্লা দায়ের হয়। সেই মামলার শুনানিতে এদিন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ জুলাই ধার্য করেছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ।

জানা গিয়েছে, হাইকোর্টের এই অবস্থানে অথৈ জলে প্রায় ১৪ হাজার ৩৩৯টি পদে শিক্ষক নিয়োগ। আইনি জটিলতা কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু রাখতে কী করণীয়? জরুরি বৈঠকে ঠিক করবে স্কুল সার্ভিস কমিশন। মঙ্গলবার পর্ষদের ঘোষণা মোতাবেক ওয়েবসাইটে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, ইন্টারভিউ তালিকা তৈরিতে বেনিয়ম করা হয়েছে। মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আদালতে বলেছেন, ‘বেশি নম্বর পেয়েও অনেকে ইন্টারভিউতে ডাক পায়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নেই।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Teachers Recruitment Primary TET CM Mamata Calcutta HC
Advertisment