CM Mamata: খারাপ আবহাওয়ায় হেলিপ্যাড জলমগ্ন থাকায় আকাশপথে মুখ্যমন্ত্রীর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পরিকল্পনা বাতিল। সড়কপথেই আমতায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার খানাকুলের ঘোষপুর এলাকায় বেলা ১২টার পর মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামার কথা থাকলেও, সেই সূচিতে বদল। হেলিপ্যাড জলমগ্ন হয়ে যাওয়ায় আকাশপথে আসছেন না তিনি। যদিও খানাকুল পরিদর্শনের সূচি বাতিল করেনি মুখ্যমন্ত্রী। সড়কপথে আসতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু হাওড়া থেকে খানাকুলে আসার রাস্তায জলমগ্ন। একইভাবে জলের তলায় আমতা-উদয়নারায়ণপুর সড়কপথ। তাই কোন পথে খানাকুলে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়, খতিয়ে দেখতে এলাকা পরিদর্শনে জেলাকর্তারা। জানা গিয়েছে, প্রথমে আমতা, তারপর উদয়নারায়ণপুর এবং খানাকুল হয়ে ঘাটালে পৌঁছতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।সম্ভবত আমতায় প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি। কথা বলবেন দুর্গত মানুষদের সঙ্গেও। এদিন রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে মমতাকে ফোন করেন মোদী। কেন্দ্রীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে, এদিন আমতায় দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পর্যাপ্ত ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এমনকি, পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে তিনি আবার আসবেন। এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। একহাঁটু জলে দাঁড়িয়ে এই পরিস্থিতির জন্য তিনি ডিভিসির জল ছাড়াকে দায়ী করেছেন। রাজ্যকে না জানিয়ে জল ছেড়েছে ডিভিসি। তাতেই এই বন্যা পরিস্থিতি। এভাবেই এদিন সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতার বেশ কিছু গ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। ডিভিসির ছাড়া জলে ভেসেছে উদয়নারায়ণপুরের ৮৫টি গ্রাম। জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরীর। দামোদরের জলে বিপর্যস্ত আমতা ১ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন এলাকা।
আরও পড়ুন: - রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মোদী-মমতা কথা! ‘ম্যান মেড বন্যা’, ফোনেই সরব মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার আমতায় গিয়ে জলবন্দি মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। সেখানে ফি বছর বর্ষায় বন্যা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রের দিকে আঙুল তুলেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ' কেন্দ্র ইচ্ছে করে এটা করে। যার ফলে আমতা উদয়নারায়ণপুরে এই অবস্থা। এই দু’দিনে জল ছাড়ার পরিমাণ কমাচ্ছে না। পলি তোলার দরকার, তাও করে না।' যদিও সেচমন্ত্রীর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর পূর্বসূরি শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছেন, 'এই সরকারের আমলে, গত ১০ বছরে কোনও স্থায়ী পরিকল্পনা হয়নি। সেচ দফতর কোনও কাজ করেনি। স্থায়ী পরিকল্পনা না হওয়ার জন্য যখন অতিরিক্ত বৃষ্টি হয় এবং ডিভিসি জল ছাড়ে দুইয়ে মিলে নিম্ন দামোদর এলাকা প্লাবিত হয়।'
অপরদিকে, হুগলির খানাকুলের পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। জলের তলায় প্রায় ৬৫টি গ্রাম। ত্রাণ না মেলার অভিযোগ গ্রামবাসীদের। যদিও প্রশাসনের দাবি, দুর্গতদের সবরকম সাহায্যই করা হচ্ছে। জলবন্দি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে নৌকায় চলছে যাতায়াত। দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সমস্যাও।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন