কয়লা পাচারকাণ্ডে চার ধৃতকেই সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। ধৃত নারায়ণ মণ্ডল, গুরুপদ মাঝি, নীরদ মণ্ডল ও জয়দেব মণ্ডল কয়লা পাচারকাণ্ডের চাঁই লালা ঘনিষ্ঠ বলে দাবি গোয়েন্দাদের। ধৃতদের মধ্যে জয়দেব মণ্ডলতে আগামী ১লা অক্টোবর ও বাকি তিন জনকে আগামী মাসের ৪ তারিখ পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে থাকতে হবে।
কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। এই দুর্নীতির গোড়াতে পৌঁছতে মরিয়া গোয়েন্দারা। দিন কয়েক আগে অনুপ মাজির শ্বশুরবাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখানে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে বাকি চার ব্য়বসায়ী নারায়ণ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি, নীরদ মণ্ডল ও জয়দেব মণ্ডলের খোঁজ মেলে। আসানসোল, রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় এদের কয়লার কারবার। সোমবার এঁদের জিজ্ঞাসাবাদের করেন সিবিআই গোয়েন্দার। জেরায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরই লালা ঘনিষ্ঠ এই চার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় দগোয়েন্দা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, এদিন আদালতে সিবিআইয়ের তরফে আইনজীবী জানিয়েছেন যে, আসানসোল, রানিগঞ্জ, পুরলিয়া, বাঁকুড়া এলাকায় অবৈধভাবে কয়লা ব্যবসা করতেন ধৃত চারজন। এঁরা কায়লাকাণ্ডে মূল অভইযুক্ত লালার ব্যবসায়ী অংশীদার। প্রায় ১৩৭৪ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। এই অঞ্চলে লালার ব্যবসা দেখভাল করতেন এঁরা। বেআইনি অর্থ কোথায় গেলে তা জানতেই ধৃত নারায়ণ মণ্ডল, গুরুপদ মাঝি, নীরদ মণ্ডল ও জয়দেব মণ্ডলকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন।
পাল্টা ধৃতদের আইনজীবী জানান, আগে এঁরা প্রত্যেকেই কয়লা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে অন্য ব্যবসা করেন। শেষ পর্যন্ত চার অভিযুক্তকেই সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন