কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে বড়সড় অভিযানে সিবিআই। তিন রাজ্যের ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, কলকাতা, বর্ধমান, রানিগঞ্জ, দুর্গাপুর, আসানসোল সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। এদিন সকালে নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকদের মোট ২২টি দল তদন্তে বেরিয়েছে। ওই আধিকারিকরাই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন। তার মধ্যে রয়েছে কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বাড়ি এবং অফিস। এমনকী অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠদের বাড়িতেও চলছে সিবিআইয়ের ম্যারাথন তল্লাশি।
কয়লা পাচার কাণ্ডে আয়কর দপ্তরের পর তদন্তে নামে সিবিআইও। আয়কর দপ্তরের তদন্তে কী কী তথ্য উঠে এসেছে, কী কী নথি প্রমাণ আয়করের হাতে এসেছে, তা বিশদে জানতে চেয়ে সিবিআই চিঠি দেয় আইটিকে। চিঠিতে সিবিআই আয়কর দপ্তরের কাছে তদন্ত সংক্রান্ত ফাইল চেয়ে পাঠায়। সবমিলিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে কোমর বেঁধে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও।
কয়লা পাচার কাণ্ডে অন্যতম পান্ডা লালা এখনও বেপাত্তা। এদিকে ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআই এর হাতে ধৃত এনামুলের সঙ্গে অনুপ মাঝির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের কথা। কলকাতায় শেক্সপিয়র সরণী–সহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অনুপ মাঝির বাড়ি ও অফিসে হানা দিয়েছিল আয়কর দপ্তর। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বহু কাগজপত্র। সেখানেই অনুপ–এনামুলের সম্পর্কের হদিস মেলে।
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ কমান্ডার সতীশ কুমারকে গ্রেফতার করে সিবিআই৷ সূত্রের খবর, জেরায় অনুপ মাঝির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা স্বীকার করেছে সতীশ।
এদিকে শনিবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ইসিএল-এর নিরাপত্তা আধিকারিক জামুড়িয়ার বাসিন্দা ধনঞ্জয় রায়ের বাড়িতে যান। তার পরই ধনঞ্জয় অসুস্থ বোধ করেন বলে পরিবার সূত্রে দাবি করা হয়। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। সিবিআই তল্লাশির সময় ধনঞ্জয়ের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন