কয়লা পাচারকাণ্ডে এবার তৃণমূল নেতা বিনয় মিশ্রের আত্মীয় বাঁকুড়া থানার আইসিকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট। অশোক মিশ্রকে রবিবার দিল্লিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিনয় মিশ্রের আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তারা একটি তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকা ধরেই জেরা চলছে। যাঁদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ মিলছে, তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে।
কয়লা এবং গরু পাচার কাণ্ডে ইডি ছাড়াও তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে এই দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, গরু এবং কয়লা পাচারের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের একাংশ জড়িত। সেই অভিযোগের তদন্তে একের পর এক পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক, থানার আইসিদের তলব করে জেরা করছে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
বাঁকুড়া থানার আইসি অশোক মিশ্রের সঙ্গে যোগসাজশ ছিল বিনয়ের। তাঁর সূত্র ধরেই কলকাতায় কয়লা পাচারের টাকা যেত বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। তাই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে, শনিবার কলকাতার নিজাম প্যালেসে কয়লা পাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালাকে দ্বিতীয় দফায় জেরা করা হয়। যদিও তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে পারেনি সিবিআই। সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে।
অন্যদিকে, রবিবারই সাংবাদিক সম্মেলন করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, এটা পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের সবচেয়ে বড় সরকারি মদতপুষ্ট দুর্নীতি। বিনয় মিশ্র ও অনুপ মাঝি ওরফে লালার কাছ থেকে ৯০০ কোটি টাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গিয়েছে। এমনকী অভিযোগ, তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা IPAC-কে ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে এই কয়লা-গরু পাচারের টাকা থেকে।