Advertisment

অর্ধনগ্ন গলায় ফাঁস দেওয়া মৃতদেহ উদ্ধার, জলপাইগুড়িতে তরুণীমৃত্যুতে চাঞ্চল্য

এলাকাবাসীদের সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাম্পি কার্জি কে। দোষীর শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন মৃতার পরিবার সহ এলাকাবাসীরা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ভোরবেলা পাওয়া যায় তরুণীর মৃতদেহ

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে এক কলেজ ছাত্রীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়ির কাছের এক বাঁশ ঝাড় থেকে মাম্পি কার্জি নামের ওই তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে। মৃতার দু হাত বাঁধা ছিল, গলায় দেওয়া ছিল গামছার ফাঁস।

Advertisment

জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে ফোন আসে ময়নাগুড়ির ভোটপট্টি এলাকার বাসিন্দা মাম্পি কার্জির। ফোন পাওয়ার পরেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। রাতে বাড়ি ফেরেননি ওই তরুণী। এদিন ভোরে এলাকার বাসিন্দারা জমিতে কাজ করতে যাওয়ার সময়ে শোভাবাড়ি গ্রামের এক বাঁশ ঝাড়ের কাছে ওই তরুণীর দু হাত বাঁধা, গলায় ফাঁস দেওয়া অর্ধনগ্ন দেহ দেখতে পান। খবর যায় ময়নাগুড়ি থানায়। খবর পেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় ময়নাগুড়ি থানার আইসি তমাল দাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।

আরও পড়ুন, খোদ কলকাতায় অ্যাসিড হামলা, অভিযুক্ত প্রাক্তন স্বামী

এলাকাবাসীদের সন্দেহ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ময়নাগুড়ি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মাম্পি কার্জি কে। দোষীর শাস্তির দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন মৃতার পরিবার সহ এলাকাবাসীরা।

publive-image দোশীর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন গ্রামবাসীরাও

মাম্পির মা সীমা কার্জির অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে চাইত ভোটপট্টি এলাকার এক যুবক। মাঝে মাঝে মাম্পিকে ফোন করত সে। ভিন জাতের ওই যুবককে তাঁর মেয়ে পছন্দ করত না বলে জানিয়েছেন সীমা কার্জি। তিনি বলেছেন, গতকাল বেশ কয়েকবার ওই যুবক ফোন করেছিল মাম্পিকে। এরপর সন্ধে থেকেই নিখোঁজ ছিল মাম্পি।

মাম্পিদের প্রতিবেশী সুশীল রায় জানিয়েছেন, ‘‘সকালে খেতে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বাঁশঝাড়ের পাশে মেয়েদের পোশাক পড়ে থাকতে দেখি। তারপরেই অন্যদের ডেকে নিয়ে কয়েকজন মিলে বাঁশবাগানের মধ্যে ঢুকে দেখি একটি মেয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। এরপর মেয়েটির ভাই এসে তাকে শনাক্ত করে।’’

আরও পড়ুন, Pornhub Banned: ‘পর্ন সাইট নিষিদ্ধ হলে ভারতীয়দের ক্ষতির সম্ভাবনা’

ময়নাগুড়ি থানার আই সি তমাল দাস জানান, ‘‘খবর পেয়ে পৌঁছে দেখি হাত বাঁধা অবস্থায় দেহটি রয়েছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে মেয়েটিকে শারিরীক নিগ্রহের পর গলায় গামছার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। আমরা দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে পুরোটা বোঝা যাবে।’’

এদিকে মৃতদেহ প্রথমে জলপাইগুড়ি মেডিক্যালে পাঠানো হলেও সেখানে ময়না তদন্ত হয়নি। দেহ পাঠানো হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে।

Advertisment