এবার চাকরির দাবিতে পথে কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীরা। ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থীরা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হন। যদিও তাঁদের ধর্না-বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি ছিল না। পুলিশ তাঁদের ধর্নাস্থল থেকে সরে যেতে বলেছে। উল্টোদিকে, ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজারার মূর্তির পাদদেশে আন্দোলনে অনড় প্রাথমিকের টেটের চাকরিপ্রার্থীরা।
চাকরির দাবিতে ফের একদল তরুণ-তরুণীর বিক্ষোভ। এবার পথে নামলেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ২০১৮ সালের কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত চাকরিপ্রার্থীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এদিন প্রায় ৬০০ জন চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভে সোচ্চার হন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা মোট ৬০০ জন মেধাতালিকাভুক্ত।
কিন্তু তারপরেও তাঁদের চাকরি হয়নি। নিয়োগের দাবিতেই এদিন অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে এসেছিলেন ওই চাকরিপ্রার্থীরা। তবে অবস্থান আন্দোলন করার জন্য তাঁদের কাছে পুলিশি অনুমোদন ছিল না। সেই কারণেই এদিন তাঁরা বিক্ষোভ শুরু করতেই সেখানে যায় পুলিশ। পুলিশ এলাকা থেকে তাঁদের সরে যেতে বলে।
নিজেকে ২০১৮-এর কলেজ সার্ভিস কমিশনের মেধাতালিকাভুক্ত প্রার্থী বলে পরিচয় দিয়েছেন এক তরুণী। তিনি এদিন বলেন, ''দুর্নীতির কারণে ২০১৮-এর মেধাতালিকভুক্ত প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়নি। সবার অবিলম্বে নিয়োগ চাই। ইডি-সিবিআই দুর্নীতির তদন্ত করুক।'' ওই তরুণী কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক করকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
আরও পড়ুন- মানিক ঘনিষ্ঠের টিচার্স ট্রেনিং সেন্টারে আসতেন পার্থ, ED-র হানায় প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য
দীপক কর দুর্নীতির সঙ্গে আপোস করেই একসঙ্গে তিনটি পদে রয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ওই চাকরিপ্রার্থী। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ''এখানে দুর্নীতির মাথা দীপক কর। তিনি কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। যদিও এর পিছনে বড় মাথা আছে। সরকারে সবটাই চোরে ভর্তি। দীপক কর একসঙ্গে তিনটি পদে রয়েছেন। তিনি আশুতোষ কলেজের অধ্যক্ষ, কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান আবার সিধো কানহু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।''
অন্যদিকে, ধর্মতলায় মাতঙ্গিনী হাজরার মূর্তির সামনে আন্দোলনে এখনও অনড় প্রাথমিক টেটের চাকরিপ্রার্থীরা। পুজোর আগে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান ঘোষণা করেছেন যে পুজোর পর থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। প্রাথমিকে ১১ হাজার নিয়োগ হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালের প্রাথথমিক টেট উত্তীর্ণ নন ইনক্লুডেড প্রার্থীরা আন্দোলনে অনড়। আজ ৬০ তম দিনে পড়ল তাঁদের ধর্না। তাঁদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ২০২০ সালে তাঁদের চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তবে সেই প্রতিশ্রুতি তিনি রাখেননি বলে অভিযোগ চাকরিপ্রার্থী তরুণ-তরুণীদের।