Offbeat Holiday Destination: ইদানিং বেড়ানোর ক্ষেত্রে একটা বড় অংশের পর্যটক অফবিট স্পট খোঁজেন। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা থেকে কয়েকদিনের আরাম পেতে অনেকেই ভিড়ে ঠাসা ট্যুরিস্ট স্পট এড়িয়ে যেতে চান। এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের হদিশ মিলবে। বঙ্গোপসাগরের পাড়ের অপরূপ এই সাগরতট এখনও ততটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তাই এতল্লাটে পর্যটকদের আনাগানোও বেশ কম। দিন কয়েকের ছুটিতে একটি মনে রাখার মতো ভ্রমণ অভিজ্ঞতার স্বাদ নিতে গেলে আপনাকে পৌঁছে যেতেই হবে অসাধারণ এই এলাকায়। চারিদিকে ঝাউবনের সারি আর বিস্তৃত সমুদ্র সৈকতে চোখ জুড়নো শোভা মন রাঙিয়ে দেবে।
আরও পড়ুন- < শক্তিশালী ভূমিকম্পের প্রভাব ভারতেও! এক মাসে তিনবার কম্পন, নেপথ্যের কারণ কী? >
দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে বেড়িয়ে আসতেই পারেন কলকাতার কাছের অপরূপ এক সমুদ্র সৈকত যমুনাশুল বা যমুনাশোল থেকে। পড়শি রাজ্য ওড়িশার উপকূলের এই সমুদ্র পাড়ের অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য নজর কাড়বেই। কোলাহল এড়িয়ে প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্য্যের স্বাদ নিতে গেলে পৌঁছে যেতে হবে এই বাংলার সীমানা লাগোয়া অপরূপ এই প্রান্তে। এখন সোশ্যাল দুনিয়ার সুবাদে অফবিট এই ট্যুরিস্ট স্পটে ছুটে যাচ্ছেন ভ্রমণপিপাসুরা। যমুনাশুল সাগরতট জুড়ে আশ্চর্য্য এক নীরবতা অনুভব করতে পারবেন। প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবন থেকে দিন কয়েকের অপার শান্তি নিতে গেলে এতল্লাটের জুড়ি মেলা ভার। বিস্তীর্ণ সাগরটতের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে রয়েছে ঝাউবনের সারি। ঝটিকা সফরে বেড়িয়ে মনকে সতেজ করে তুলতে ছুটে যেতেই পারেন বাংলার সীমানা ঘেঁষা এই যমুনাশুলে।
কীভাবে যাবেন যমুনাশুলে?
যমুনাশুলের নিকটবর্তী রেল স্টেশন হল ওড়িশার বাস্তা। এই বাস্তা থেকে মাত্র ৩১ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে যমুনাশুল। কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে গেলে ধৌলি এক্সপ্রেস ধরে পৌঁছে যেতে পারেন বাস্তায়। তারপর সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন যমুনাশুলে। তবে চাইলে জলেশ্বর স্টেশনে নেমে সেখান থেকেও অটো কিংবা অন্য ছোটো গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন যমুনাশুলে। সড়কপথে গেলে ১৬ নং জাতীয় সড়ক ধরুন। জলেশ্বর পেরিয়ে গান্ধীচক থেকে বাস্তা-বালিয়াপাল রোড ধরলেই পৌঁছে যাবেন এই এলাকায়।
আরও পড়ুন- কলকাতার খুব কাছেই অসাধারণ এই সমুদ্রতট, মন জুড়োতে এ ঠিকানার জুড়ি মেলা ভার!
যমুনাশুলে থাকার বন্দোবস্ত কী?
পর্যটন মানচিত্রে এই এলাকাটি এখনও তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তাই পর্যাপ্ত সংখ্যায় হোটেল কিংবা লজ এখানে গড়ে ওঠেনি। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অফবিট এই ডেস্টিনেশনের পরিচিতি বাড়ছে। সেই কারণেই সমুদ্রে পাড়ে ক্যাম্প গড়ে পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও এখানে একটি ফার্ম হাউসে পর্যটকদের থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। এসি বা নন এসি দু'রকম ঘরই পেয়ে যাবেন। ঘরের ভাড়াও নাগালের মধ্যেই।
আরও পড়ুন- হৃদয় জোড়ানো অসাধারণ পরিবেশ! পুজোয় ঘোরার সেরা বাজি বাংলার এই পাহাড়ি গ্রাম
যোগাযোগ করতে পারেন-
Naturestay Jamunasul Coastal Farm: 9051160870 / 9038633211