গঙ্গাসাগার মেলাকে 'জাতীয় মেলা' ঘোষণার জন্য ফের কেন্দ্রের কাছে দাবি জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, কুম্ভমেলা আয়োজনের জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে কেন্দ্র আর্থিক সহ নানা সহায়তা করলেও বাংলার সাগর মেলার ক্ষেত্রে তা হয় না। ৮ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে এবারের গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগে বুধাবার হেলিকপ্টারে চড়ে সাগরে পৌঁছে প্রস্তুতি ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় অসযোগিতার অভিযোগ তুলে সাগর মেলা সম্পন্নে রাজ্য সরকারের কাজের খতিয়ানও পেশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
এবার আরও সহজে পৌঁছানো যাবে গঙ্গাসাগরে। মেলা শুরুর দিন কয়েক আগেই পূর্ণ্য়ার্থীদের জন্য বড় উপহার দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাগরে তিনটি স্থায়ী হেলিপ্যাডের উদ্বোধন করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ চাইলে এবার পূণ্যার্থীরা কপ্টারে চড়ে কম সময়ে সাগর দ্বীপে যেতে পারবেন। সুগম যাতায়াত ব্যবস্থার প্রসঙ্গেই এ দিন কুম্ভমেলার অবতারণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কুম্ভমেলায় আকাশ এবং রেলপথের যোগাযোগ দারুণ ভাল। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলায় মানুষকে জল দিয়ে পেরোতে হয়। তাও কোটি কোটি মানুষ যাতায়াত করেন। আমরা কেন্দ্রকে বার বার বলেও বিচার পাইনি। মুড়িগঙ্গার উপরে একটা সেতু হল না। এই সেতু বানাতে খরচ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেখা যাক, তা কী ভাবে করা যায়।'
উত্তরপ্রদেশের কুম্ভমেলার সঙ্গে এ রাজ্যের গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মতে, কুম্ভমলায় রাজ্যকে সম্পূর্ণ সাহায্য করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু গঙ্গাসাগরের ক্ষেত্রে কোনও সাহায্য করা হয় না বলে অভিযোগ তাঁর। এর পাশাপাশি, গঙ্গাসাগর মেলাকে ‘জাতীয় মেলা’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবিও তুলেছেন তিনি।
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন। বলেন, 'কুম্ভমেলায় কেন্দ্র উত্তরপ্রদেশকে টাকা দেয়। আর গঙ্গাসাগর মেলায় ১০ পয়সার বাতাসা দিয়েও উপকার করা হয় না। সম্পূর্ণ খরচটাই রাজ্য সরকারের।'
এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় যাতে কোনও পূণ্যার্থীর কোনও অসুবিধা না হয় সেদিক বিবেচনা করে একাধিক সুযোগ সুবিধা ব্যবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। নতুন জেটি, হেলিপ্যাড তৈরির পাশাপাশি গঙ্গাসাগরে আগত সকলের জন্য পাঁচ লাখ টাকা বীমার বন্দোবস্ত করেছে রাজ্য সরকার।