/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/10/Mamata-Banerjee-Ratan-Tata-Suvendu-Adhikari.jpg)
বাঁদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রতন টাটা এবং শুভেন্দু অধিকারী।
সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধের জন্য টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের এই রায় বেরোতেই সুর চড়ালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। টাটাদের এই বিপুল পরিমাণ টাকা রাজ্যের ভাণ্ডার থেকে না দিয়ে বিকল্প পথের হদিশ দিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক। চাঁচাছোলা মন্তব্যে আদতে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উপরেই চাপ বাড়ালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।
কোন তহবিল থেকে টাটাদের ক্ষতিপূরণ? শুভেন্দু যা বললেন…
"আমার দাবি যে এই টাকা যেন করদাতাদের থেকে না দেওয়া হয়। সেটা দিলে বিরোধ হবে। বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে বিরোধ হবে। তৃণমূলের পার্টি ফান্ড থেকে টাকাটা দেওয়া হোক। তৃণমূলের ফান্ডে ৮০০ কোটি টাকা আছে। ৩০০ কোটি টাকা ডিয়ার লটারির আছে। আমি এদের সব জানি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই টাকাটা তাঁর পার্টির ফান্ড থেকেই দেওয়া উচিত। মদ বিক্রি করে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছেন পুজোয়।"
উল্লেখ্য, সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধ করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে টাটা মোটরসকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। এই নির্দেশের বিষয়টি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে টাটা মোটরস।
আরও পড়ুন- বালু থেকে বাকিবুর, স্বভাবসিদ্ধ ঢঙেই যেন ঝেড়ে কাপড় পরালেন দিলীপ!
জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জের এক নোটে টাটা মোটরস বলেছে, ‘সিঙ্গুর (পশ্চিমবঙ্গ)-এ অটোমোবাইল উৎপাদনের ব্যাপারে জানানো হচ্ছে যে তিন সদস্যের সালিসি ট্রাইব্যুনাল পূর্বোক্ত মুলতুবি থাকা সালিসি কার্যধারা অবশেষে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর, নিষ্পত্তি করা হয়েছে। টাটা মোটরস ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরুদ্ধার না-হওয়া পর্যন্ত প্রতিপক্ষের (পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম/WBIDC) থেকে বছরে ১১% হারে সুদ পাবে। এছাড়া ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা পাবে।’ এছাড়াও মামলার খরচ হিসেবে তাদেরকে আরও এক কোটি টাকা দিতে বাধ্য থাকবে ডব্লিউবিআইডিসি, নোটে এমনও জানিয়েছে টাটা মোটারস।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুরে টাটাদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ, বাম-তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপির