দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী থানার অন্তর্গত ৭ নম্বর ঢুঁড়ি তিতকুমার গ্রামে ভয়ঙ্কর কাণ্ড, স্ত্রীর ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে!
মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় আহত মহিলার নাম প্রিয়া মোল্লা। রাতেই তাঁকে ক্যানিং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে অভিযুক্ত স্বামী রাজীব মোল্লার বিরুদ্ধে।
জখম প্রিয়ার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব মোল্লা। সেখানেই স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি হয়। একপরই আচমকা স্ত্রীর ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন রাজীব। পুরো ঘটনায় হকচকিয়ে যান প্রিয়ার বাপের বাড়ির লোকেরা। বুধবার সকালে বাসন্তী থানায় রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রিয়ার বাবা সুরজ মোল্লা। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস ৷
প্রিয়া এবং রাজীবের বাড়ি পাশাপাশি দুই গ্রামে। প্রেমের পর এক বছর আগেই দু'জনের বিয়ে হয়েছিল। মঙ্গলবার বিকেলে প্রিয়ার শরীর খারাপ হওয়ায় তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন তাঁর মা। শারীরিক অসুস্থতার জেরে প্রিয়া বাপের বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। রাত ৯টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ি পৌঁছন রাজীব মোল্লা। সেখানে গিয়েই শ্বাশুড়ির কাছে স্ত্রীর খোঁজ নেন তিনি৷ এরপরে প্রিয়ার ঘরে গিয়ে তাঁর কাছে জল চান। অভিযোগ, জল খাওয়ার পরেই প্রিয়ার ঠোঁট কামড়ে ধরেন রাজীব। ঠোঁটের বেশ খানিকটা অংশ ছিঁড়ে নেন। প্রিয়ার চিৎকারে তাঁর মা ছুটে এলে রাজীব তাঁকেও মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর রক্তাক্ত প্রিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
প্রিয়ার মা আরজিনা খাতুনের দাবি, 'আমার মেয়ের উপর হামলা চালানোর পর আমাকেও মারধর করে। আমার পা ধরে রাজীব মোল্লা বলেছে তোকেও শেষ করব।'