AC Installation: প্রবল গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে AC মেশিন কেনার আগ্রহ ভীষণভাবে বেড়ে গিয়েছে। শহর থেকে জেলা, ইলেকট্রনিক্সের শোরুমগুলিতে AC মেশিন কিনতে ভিড় যেন বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে এয়ার কন্ডিশনার মেশিনের এই প্রবল চাহিদার সঙ্গে তার জোগানও অটুট রাখতে কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে দোকানগুলিকে। সেই সঙ্গে ইনস্টলেশনের ক্ষেত্রেও কয়েক দিন দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ মিলছে। শহর ও শহরতলির বেশ কয়েকটি ইলেক্ট্রনিক্সের শোরুম কর্তৃপক্ষই এই দেরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
অসহ্য গরমে জেরবার দশা দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র। তাপপ্রবাহ (Heat Wave) চলছে জেলায়-জেলায়। গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই এসি কিনছেন। গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে AC-র চাহিদা প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে। একাধিক সংস্থা বিপুল এই চাহিদার জোগান দিতে তাঁদের উৎপাদনও বাড়িয়েছে। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রে এসি-র ইনস্টলেশনের (AC Installation) বিষয়টি নিয়ে দেরির অভিযোগ উঠছে।
দক্ষিণ কলকাতার বেকবাগানের একটি ইলেট্রনিক্সের শোরুমের কর্মী বিজয় সরদার। তাঁর কথায়, "এই গরমে এসির চাহিদা বেড়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দু'একদিনের মধ্যেই সংস্থার কর্মীরা বাড়িতে গিয়ে এসি লাগিয়ে দিচ্ছেন। তবে অত্যধিক চাহিদার কারণে মাঝেমধ্যে সেক্ষেত্রে দেরি হয়ে যাচ্ছে।"
গড়িয়ার একটি ইলেক্ট্রনিক্সের শোরুমের কর্মী রূপচাঁদ সরদার। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এসির চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। তবে শোরুম থেকে ডেলিভারি তারপর ইনস্টলেশনের কাজও দ্রুত চলছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে ইনস্টলেশনের বিষয়টিতে একটু দেরি হচ্ছে।"
আরও পড়ুন- Ceiling Fan: ফ্যানের স্পিড কমালেই কমে ইলেকট্রিক বিল? বিদ্যুতের খরচ কমানোর বাম্পার ফর্মূলা জানুন
এতো গেল ইলেকট্রনিক্সের শোরুমগুলির কর্মীদের কথা। সদ্য এসি কিনেছেন এমন কয়েকজন কী বলছেন? বারুইপুরের বাসিন্দা চন্দন মারিক। প্রচণ্ড গরমের জেরে সম্প্রতি তিনিও একটি এসি কিনেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর AC-র ইনস্টলেশনের ক্ষেত্রেও কয়েকদিন দেরি হয়েছে। কর্মীর অভাবের জেরেই এই দেরি বলে তাঁকে জানানো হয়।
বারুইপুরেরই আরও এক বাসিন্দা প্রসেনজিৎ নষ্করের অভিজ্ঞতা কিন্তু ভিন্ন। তিনি বলেন, "আমি যেদিন এসি কিনেছি, তার পরের দিনেই কোম্পানি থেকে ফোন আসে। ইনস্টলেশনের ক্ষেত্রে আমার অন্তত কোনও সমস্যা হয়নি। তবে অনেকের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা হচ্ছে বলে শুনেছি।"