Successful surgery: এর আগে এই হাসপাতালে এমন জটিল উদ্যোগ হয়নি। রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই জেলার সরকারি এক হসাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন নজিরবিহীন সাফল্য নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রোগীর পরিবারও যথেষ্ট উৎসাহিত। সরকারি এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এমন বেনজির তৎপরতায় মুগ্ধ রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে অন্যরা।
Successful surgery: এর আগে এই হাসপাতালে এমন জটিল উদ্যোগ হয়নি। রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে সেটা আর সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যেই জেলার সরকারি এক হসাসপাতালের চিকিৎসকদের এমন নজিরবিহীন সাফল্য নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। রোগীর পরিবারও যথেষ্ট উৎসাহিত। সরকারি এই হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের এমন বেনজির তৎপরতায় মুগ্ধ রোগীর পরিবার থেকে শুরু করে অন্যরা।
Successful surgery: এমন জটিল তৎপরতায় বেনজির সাফল্যে রীতিমতো চর্চায় এসে গিয়েছে এই হাসপাতালটি।
spine surgery: জেলার হাসপাতালের এ এক অভূতপূর্ব সাফল্য। এই প্রথম সফলভাবে এই কঠিন অস্ত্রোপচার (Operation) হল জেলার এই হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর রীতমতো সাড়া রোগীর। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই এই রোগী আরও বেশ খানিকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবেন বলে আশাবাদী চিকিৎসকরাও।
Advertisment
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ (Kakdwip) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Kakdwip Super Speciality Hospital)। এই প্রথম শিরদাঁড়ার সফল অস্ত্রোপচার হল এই হাসপাতালে। রোগীও সুস্থ রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৭ জানুয়ারি শিরদাঁড়া ভাঙা অবস্থায় কাকদ্বীপের লট নম্বর আটের কালিকাপুর বাঘের চকের বাসিন্দা শেখ আতিয়ার রহমান হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এক্সরে (X-Ray) করে দেখা যায়, তাঁর এল-৫ এস-১ হাড় ভেঙে গিয়েছে। রোগীর কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। বাম পা তুলতে পারছিলেন না তিনি। উঠে বসা তো দূরের কথা, পা মুড়েও তিনি বসতে পারছিলেন না।
এমআরআই (MRI) করে দেখা যায়, ওই ব্যক্তির শিরদাঁড়ার শিরাগুলি চেপে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা (Treatment)। কিন্তু অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হলে আতিয়ারের স্ত্রী জানান তাঁদের কোনও আর্থিক সামর্থ্য নেই। এরপরেই কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জয়দীপ মণ্ডল বিষয়টি নিয়ে হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে আলোচনা করেন। শেষে হাসপাতালের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কাকদ্বীপ হাসপাতালেই অপারেশন করা হবে। সেই মতো আতিয়ারের স্ত্রীর অনুমতি নিয়ে শনিবার অপারেশন করা হয়।
এ বিষয়ে কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ ডাঃ জয়দীপ মণ্ডল বলেন, "শিরদাঁড়ার এমন কঠিন অপারেশন কাকদ্বীপ হাসপাতালে এই প্রথম করা হল। হাসপাতালে অপারেশনের পরিকাঠামো থাকলেও, সম্পূর্ণ পরিকাঠামো ছিল না। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। রোগী সুস্থ রয়েছেন। ব্যথাও অনেক কমেছে। বর্তমান পা তুলতে পারছেন তিনি। আশা করা যায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রোগী হাঁটতেও পারবেন।"
অন্যদিকে, স্বামীর সফল অস্ত্রোপচারে স্বভাবতই বেশ খুশি আতিয়ারের স্ত্রী পাপিয়া বিবি। তিনি বলেন, "নদী বাঁধে কাজ করার সময়, পাশে থাকা বালির স্তুপ ধসে আতিয়ারের গায়ে পড়ে যায়। বালিতে চাপা পড়ে যায় আতিয়ার। প্রতিবেশীরা তাঁকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে এই কঠিন অপারেশন কাকদ্বীপ হাসপাতালে না করা হলে, আতিয়ারকে সুস্থ করা সম্ভব হতো না। কারণ আমাদের মতো গরিব পরিবারের পক্ষে ওঁকে সুস্থ করার মতো আর্থিক সক্ষমতা ছিল না।"