হাতের মায়া ত্যাগ করে ভ্যানিশ বায়রন, কিন্তু সাগরদিঘি থেকে পাওয়া অক্সিজেনে যেন টইটুম্বল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত ভোটের আগে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় দখল করল হাত শিবির। সঙ্গে স্থানীয় নেতা সহ কয়েক'শ কর্মীও ঘাস-ফুল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন।
এর আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের পার্টি অফিস দখলের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই অভিযোগ কংগ্রসের বিরুদ্ধে।
দলীয় নেতৃত্বের অসহযোগিতায় দল ছাড়লেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি। তার সঙ্গে গ্রামের অধিকাংশ তৃণমূল কর্মী সমর্থক কংগ্রেসের যোগদান করলেন। দলবদলের পরেই কার্যালয়ের প্রতীক বদলে দেওয়া হয়। তৃণমূলের প্রতীক মুছে হাতের ছবি ফুটিয়ে তোলা হয় সেখানে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ১ নম্বর ব্লকের ঝিকোড্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের কোট গ্রামে।
আরও পড়ুন- মারাত্মক অভিযোগ, বিয়ের ১১ দিনের মাথায় থানায় বাংলার বিজেপি বিধায়কের স্ত্রী!
ওই গ্রামে শুরু থেকেই তৃণমূল করতেন সানোয়ার শেখ। সংগঠনের জোরে তিনিই ছিলেন কোট গ্রামের বুথ সভাপতি। সেই সানোয়ার রবিবার সন্ধ্যায় দল ছাড়লেন। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বীরভূম জেলা কংগ্রেসের সহ সভাপতি কাসাফদ্দোজা। দলবদলের পরেই কান্নায় ভেঙে পরেন সানোয়ার। তিনি বলেন, 'জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল দল করছি। কিন্তু এখন আর তৃণমূল আগের মতো নেই। এক নেতার অত্যাচারে দল ছারলাম।'
কংগ্রেসের কাসাফদ্দোজা বলেন, 'তৃণমূলের অপশাসন, চুরি, দুর্নীতির প্রতিবাদে ওদের বুথ সভাপতি সহ গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কংগ্রেসে যোগদান করলেন। তাঁরা চান মানুষ সরকারি সুবিধা ভোগ করুণ। কিন্তু তৃণমূলে থেকে মানুষের জন্য কিছু করতে পারছিলেন না। তাই আমাদের দলে যোগদান করলেন।'
দলবদলের পরে তৃণমূলের কার্যালয়ের প্রতীক এবং নাম মুছে কংগ্রেসের প্রতীক একে দেওয়া হয়। বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, 'সানোয়ার শেখকে আগেই বুথ সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ মানেনি। তাই হয়তো দল ছেড়েছেন। তবে দল ছাড়ার খবর আমার কাছে নেই।'