বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের দাবি, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি ও কংগ্রেস। মামলার পর্যবেক্ষণে হাইকোর্টও মনে করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এমনকী কমিশনকে তাঁদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে আদালত। আগামী ১২ জুনের মধ্যে এব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
৮ জুলাই হবে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমার শেষ দিন ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১১ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের গণনা হবে। ফল ঘোষণা ১৯ জুলাই। বিরোধীদের দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। ভোট ঘোষণার পরের দিনই আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি, কংগ্রেস।
আরও পড়ুন- ‘পঞ্চায়েতে ৯৮% আসনে না লড়েই জিতবে TMC’, ‘কাঁটা লাগানো’ ভাষণে ‘বাজার গরম’ মদনের
একই দাবিতে সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, অধীর চৌধুরীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে পঞ্চায়েত ভোট, অনলাইনের মনোনয়ন পেশের দাবির পাশাপাশি মনোনয়ন জমার সময়সীমা বাড়ানোরও দাবি করেছে দুই দল। হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা পদ্ম ও হাত শিবিরের।
সেই মামলার পর্যবেক্ষণে শুক্রবার হাইকোর্টও মনে করে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নপত্র পেশ করার জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়নি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তাঁদের সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে বলেছে আদালত। এরই পাশাপাশি মনোনয়ন পর্বের গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচতন কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদারকিতে করার দাবি বিরোধী কংগ্রেস ও বিজেপির। রাজ্যের নির্বাচনে আগের একাধিক ঘটনার নিদর্শন তুলে ধরেই এই দাবি দুই দলের।
আরও পড়ুন- এক-রা শুভেন্দু-অধীরের, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হতেই অন্য কৌশল হাত-পদ্মের!
কলকাতা হাইকোর্টও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এদিন মামলার পর্যবেক্ষণে আদালত এই দিকটির প্রতিও আলোকপাত করেছে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য কাজ করতে পারে বলে এদিন জানানো হয়েছে। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।