NITI Aayog Meeting: নীতি আয়োগের বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাইক বন্ধ করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বাংলার বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এদিন জোরালো সওয়াল করেন তিনি। কলকাতায় ফিরেও এনিয়ে তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলার পাশাপাশি আগামী বছরের নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা ভেবে দেখার কথাও জানিয়েছেন।
মমতার অভিযোগ, বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ১৫-২০ মিনিট করে বলার সুযোগ দিলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে মাত্র ৫ মিনিট বলার পরই বারবার বেল টিপে তাঁকে থামিয়ে দেওয়া হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় মাইক। মমতার এহেন অভিযোগকে কেন্দ্র করে সরগরম জাতীয় রাজনীতি। এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন এই বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'সব মুখ্যমন্ত্রীদের পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা।এখন ভিত্তিহীন কথা বলে ইন্ডিয়া জোটকে খুশি করার চেষ্টা করছেন'।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে দাবি করছেন তার মাইক্রোফোন বন্ধ ছিল তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। বৈঠকে প্রতিটি মুখ্যমন্ত্রীকে কথা বলার জন্য উপযুক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। মমতার এই দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা'।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আরও বলেছেন, "সবাইকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে তার মাইক বন্ধ করা হয়েছে, যা সত্য নয়…! মিথ্যার উপর ভিত্তি করে গল্প বানাচ্ছেন তিনি। এর পরিবর্তে এর পিছনের সত্যটি বলা উচিত মমতার।"
আরও পড়ুন - < ISS Mission: মহাশূন্যে পাড়ি, সৃষ্টি হতে চলেছে নতুন এক ইতিহাসের, উচ্ছ্বাসে ভাসছে ইসরো >
পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলতে দেওয়া হয়নি: মমতা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে রাজনৈতিক বৈষম্যের অভিযোগ করেছেন। তিনি দাবি করেছে যে নীতি আয়োগের বৈঠকে তাকে পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলতে দেওয়া হয়নি। যেখানে অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের আরও সময় দেওয়া হয়েছে।
NITI আয়োগ সভা থেকে বেরিয়ে আসার পরে মমতা বলেন, আমাকে মাত্র পাঁচ মিনিট কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, "আমিই বিরোধী সদস্য যিনি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, কিন্তু তারপরও আমাকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এটা অপমানজনক। চন্দ্রবাবু নাইডুকে ২০ মিনিট, অসম , গোয়া, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের ১০-১২ মিনিটের জন্য বলতে দেওয়া হলেও আমাকে ৫ মিনিটের মাথায় থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যেটা অন্যায়।" উল্লেখ্য, তামিলনাড়ু, কেরল, হিমাচল প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি এবং পাঞ্জাব সহ অনেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাপতিত্বে NITI আয়োগ বৈঠক বয়কট করেছেন।
এদিকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর এমন অভিযোগের পর মমতার পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও। তাঁর প্রশ্ন, এটা কি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো? এভাবে একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আচরণ করা যায়? বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারকে বুঝতে হবে, বিরোধী দলগুলিও গণতন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অংশ"। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'নীতি আয়োগের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এমন আচরণ, যা নীতি আয়োগের আসল রূপ, একেবারেই অগ্রহণযোগ্য'।