Adhir chowdhury : ছেলে ইশাখান চৌধুরী এবারই প্রথম দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ হয়েছে। কিন্তু ওর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসার অভিজ্ঞতা নেই । ফলে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে দলের হাইকমান্ড। রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে অধীর চৌধুরীর ইস্তফা দেওয়ার বিতর্কের পর বৃহস্পতিবার এমনটাই মন্তব্য করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। এদিন সাংবাদিকদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনায় প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু বলেন , ইশা তো আগে বিধায়ক হয়েছে। জেলার নেতৃত্ব সামলাচ্ছে। কিন্তু এবার প্রথম ছেলে সাংসদ হয়েছে। তবে ওর এখনো প্রদেশ সভাপতির নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয় নি। এজন্য আরও অনেক সময় পড়ে আছে। যেহেতু এই পদটির অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। ফলে এখনই ইশাখান চৌধুরীকে এই দায়িত্ব না দেওয়াটাই উচিত।
উল্লেখ্য, প্রয়াত রেল-মন্ত্রী গণিখান চৌধুরীর ভাই হলেন আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু)। একটানা পাঁচবারের সাংসদ রয়েছেন ডালুবাবু। তবে এবারের লোকসভা নির্বাচনে বয়স জনিত কারণে ডালুবাবু আর ভোটে দাঁড়ান নি। সেই জায়গায় দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হয়েছিলেন ডালুবাবুর ছেলে ইশাখান চৌধুরী। কংগ্রেস প্রার্থী ঈশা এবারের নিকটতম প্রার্থী বিজেপির শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে জয়লাভ করেন। বিগত দিনে ইশাখান চৌধুরী সুজাপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন। এছাড়াও জেলা কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রয়েছেন তিনি। যেহেতু এবারের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে একমাত্র দক্ষিণ মালদায় কংগ্রেসের জয় হয়েছে , ফলে ইশাখান চৌধুরীকে প্রদেশ নেতৃত্বের আসনে বসানো নিয়ে রীতিমতো ভাবনা-চিন্তা শুরু করে দিয়েছে হাইকমান্ড । তবে সেক্ষেত্রেই আপত্তি জানিয়েছেন সাংসদ ইশার বাবা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ডালুবাবু।
আরও পড়ুন - < Ilish: ইলিশপ্রেমীদের জন্য বড় খবর! টন টন মাছ এনে মৎস্যজীবীরা কী জানালেন জানেন? >
রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ ডালুবাবু বলেন, 'অধীর চৌধুরীর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদত্যাগের বিষয় নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারব না। তবে হাইকমান্ড যদি মনে করে ছেলে ইশাখান চৌধুরীকে সেই দায়িত্ব দেবে, তবে আমি বলব ইশার এখনও সময় হয় নি। এটা অত্যন্ত গুরুতর জায়গা। এর জন্য অনেক অভিজ্ঞতা লাগে । হাইকমান্ড যোগ্য যাকে মনে করবে তাকেই প্রদেশ সভাপতি নেতৃত্বে দায়িত্ব দেবে'।