প্রকাশ্য দিবালোকে জেলা তৃণমূলের এক শিক্ষক নেতাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ। ধারালো অস্ত্রের কোপে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। গুরুতর জখম তৃণমূল নেতাকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূল নেতা তথা পেশায় শিক্ষক ওই ব্যক্তি। থানায় অভিযোগ পরিবারের। মঙ্গলবার সকালে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের হরদমনগরে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বাজার করতে যাওয়ার পথে স্থানীয় তৃণমূল নেতা রামচন্দ্র দাসের উপর হামলা চলে। সাড়ে ১৬ শতক জমি নিয়ে রামচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর প্রতিবেশী শংকর দাসের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। শংকর দাস আবার এলাকার দাপুটে কংগ্রেস নেতা বলেই পরিচিত।
মঙ্গলবার রামচন্দ্র দাসকে বাজারে দেখে ঘিরে ধরে প্রতিবেশী শংকর দাস ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ, ওই সময়ে শংকর দাসের স্ত্রী ও ছেলে ঘটনাস্থলে ছিলে। শুরু হয় বচসা। রামচন্দ্র দাস ও শংকর দাসের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছোয়। এর পরেই রামচন্দ্রের উপর হাঁসুয়া নিয়ে চলে হামলা। হাঁসুয়ার কোপ গিয়ে লাগে তাঁর ডান হাতে।
আরও পড়ুন- পিটিয়ে মেরে বাঘরোলের মাংসে পিকনিক-ছবি পোস্ট, ‘হিরোগিরি’-র মাশুল দিল যুবক
স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ছুটে আসেন রামচন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যরা। ততক্ষণে অবশ্য শংকর দাস-সহ তাঁর অনুগামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে মোট ১১ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জখম রামচন্দ্র দাসের ছেলে সৌভিক দাস। তদন্তে নেমে পুলিশ ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্ৰেফতার করেছে।
আরও পড়ুন- জেল-জীবনে বেশ ঝরঝরে কেষ্ট, কমছে ওজন, ‘হেভিওয়েট’ তকমা ঝাড়তে মরিয়া ‘চেষ্টা’
এদিকে, দলের এক নেতার উপর এই হামলা নিয়ে যারপরনাই ক্ষুব্ধ হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের বস্ত্র দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী তাজমুল হোসেন। তিনি বলেন, 'দলের নেতার উপর আক্রমণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পুলিশকে সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।'
আরও পড়ুন- ‘চেষ্টা করলেও হয়তো পাত্তা পায়নি,’ সৌমিত্রর তৃণমূলে ফেরা নিয়ে মন্তব্য সুজাতার
অন্যদিকে, দলের এক নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূল নেতার উপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগটিকে পারিবারিক বিবাদ বলেই মনে করেন মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালী সাধন রায়। তিনি বলেন, 'হরিশ্চন্দ্রপুরের ঘটনাটি পারিবারিক বিষয়। এখানে রাজনীতি নেই। আমাদের দলের কোনও কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নেই।' হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ৩ জনকে গ্ৰেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও খোঁজ চলছে।