Congress Leader Supports BJP In Darjeeling: তৃণমূল ছেড়ে গত বছরই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। আশা করেছিলেন এবারের লোকসভা নির্বাচনে দার্জিলিং থেকে হাত শিবিরের প্রার্থী হবেন। সে আশায় জল পড়েছে। প্রার্থী করা তো দূর, এমনকী পাহাড়ের প্রার্থী নির্বাচনে বিনয় তামাংয়ের মতামতও নেওয়া হয়নি। উল্টে কংগ্রেস দার্জিলিং কেন্দ্রের এবার ভোটযুদ্ধে নামায় মুনিশ তামাংকে। তারপর থেকেই পাহাড়ের রাজনীতিতে সমকীরণ বদলাতে থাকে। এবার লোকসভা ভোটে দার্জিলিংয়ের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তাকেই সমর্থন জানালেন কংগ্রেস নেতা বিনয় তামাং।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় গেরুয়া প্রার্থীকে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন বিনয় তামাং। তবে একবারও হাত শিবিরের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথা ঘোষণা করেননি বিনয়।
আগামী ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিংয়ে ভোট হবে। তার আগেই কংগ্রেস নেতার সমর্থন মেলায় বিজেপি বড় অ্যাডভানটেজ পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
ভিডিও বার্তায় কংগ্রেসের বিনয় তামাং বলেছেন যে, 'আমি দার্জিলিং আসন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থী শ্রীকে আমার আন্তরিক সমর্থন জানাই। রাজু বিস্তা জি দার্জিলিং পাহাড়, শিলগুড়ি তরাই এবং দুয়ারের মানুষের জন্য সাংবিধানিক নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের জন্য।'
আরও পড়ুন- Amit Shah: ‘বাংলায় চাকরি পেতে ১০-১৫ লক্ষ টাকা ঘুষ’, চরম কটাক্ষে তৃণমূলকে তুলোধনা শাহের
বিনয়ের আহ্বান, 'আমি বিনীতভাবে আমার দার্জিলিং পাহাড়, শিলিগুড়ি তরাইয়ের সকল সম্মানিত সহ নাগরিক, আমার সহযোগী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়স্বজন এবং পরিবারকে তাদের মূল্যবান ভোট বিজেপি প্রার্থী শ্রী রাজু বিস্তাকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। বিস্তাজির প্রতীক পদ্ম ফুল।'
কেন এই আর্জি? বিনয় তামাংয়ের কথায়, '২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকারের কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত, ২০২৬ সালেও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার আসার একটি পোক্ত সম্ভাবনা রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্যে যে দল ক্ষমতায় আসে তার বিরুদ্ধে যাওয়া সঙ্গত ও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর আমি দার্জিলিং পাহাড়, শিলিগুড়ি তরাই, ডুয়ার্স এবং গোর্খা সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য আমার সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছি এবং যেহেতু আমি আমার প্রতিশ্রুতিতে অটল আছি, তাই আমি আমার দার্জিলিং পাহাড়ের জনগণকে নেতৃত্ব দিতে পারি না। শিলিগুড়ি তরাই ভুল পথে এবং যদি কেউ তাদের ভুল পথে আনার চেষ্টা করে, তাদের সুরক্ষিত করা আমার নৈতিক দায়িত্ব। নীতিগতভাবে নীতিকে সর্বাগ্রে বিবেচনা করে সকল বিষয়ে গভীর চিন্তা ও উপলব্ধি করে স্বাধীনভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেউ আমাকে হস্তক্ষেপ করেনি, আমি কারও সঙ্গে যোগাযোগ করছি না।'