চমকে দেওয়ার মতো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নতুন বছরে উপহার হিসাবে কেক পাঠালেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে, নেহাত সৌজন্যের খাতিরে নয়। এই উপহারের নেপথ্যে রয়েছে দাবি আদায়ের অভিনব পন্থা! ২০২৪ সালের পয়লা জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ঠিকানায় কুরিয়ার মারফত কেক পাঠিয়েছেন জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস নেতৃত্ব। জলপাইগুড়ির ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি গেটের ছবি দেওয়া ওই কেক বেশ বড়।
হঠাৎ কেন এই উপহার? জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস নেতা, কর্মীদের কথায়, ১ জানুয়ারি জলপাইগুড়ি জেলা ১৫৫ বছরে পা দিল। জলপাইগুড়ি পুরসভাও বেশ প্রাচীন। এই পুরসভাকে কর্পোরেশনে উন্নীত করার দাবিও দীর্ঘ তিন দশকের। সেই দাবি পূরণের কথা স্মরণ করাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে কেক পাঠিয়েছেন জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস নেতা, কর্মীরা।
যুব কংগ্রেস নেতা গণেশ ঘোষ বলেছেন, 'আমরা চাই এবার জলপাইগুড়ি কর্পোরেশন ঘোষণা করুক মুখ্যমন্ত্রী। সেইজন্য তাঁর কাছে গিফট হিসাবে কেক পাঠিয়ে রিটার্ন গিফট দাবি করেছি।' তাঁর দাবি, 'রাজ্য ৭ কর্পোরেশনের মধ্যে উত্তরবঙ্গে রয়েছে মাত্র একটি কর্পোরেশন। বাম আমলেই শিলিগুড়ি পুরসভা কর্পোরেশন হয়েছিল। এরপর তৃণমূল ক্ষমতায় এসে জলপাইগুড়ি জেলাকে ভাগ করে দিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা তৈরি করে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ধূপগুড়িকে মহকুমা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জলপাইগুড়ি জেলায় ক্রান্তি ও বানারহাট দু'টি নতুন ব্লক ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এইসব দীর্ঘ দিনের দাবি মিটিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু জলপাইগুড়ি পুরসভার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি কিছুতেই পূরণ করা হচ্ছে না। তাই সেটা মনে করাতেই আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে কেক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছি।'
কংগ্রেসের দাবি প্রসঙ্গে কী মত তৃণমূলের? রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হলেও প্রকান্তরে কংগ্রেসের দাবিতে সম্মতি রয়েছে রাজ্যের শাসক দলের। তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির সদস্য তথা জলপাইগুড়ি পৌরসভার কাউন্সিলর তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'এটা কংগ্রেসের বহু দিনের দাবি, তৃণমূলও এই দাবি করেছে। অবশ্য দাবি পেশের আগে পুরসভাকে কর্পোরেশনে রূপান্তরিত করা যায় কিনা সেটা ভাল করে খতিয়ে দেখা উচিত।'