সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জিতে কংগ্রেসের মরা গাঙে জোয়ার এনেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। বিধায়নসভায় খাতা খুলেছিল কংগ্রেস। ওই জয়ের তিন মাস পূর্তির আগেই সেই বায়রন যোগ দিলেন তৃণমূলে। এ দিন বায়রন বিশ্বাসই ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা হাতে তুলে নিলেন।
Advertisment
বিধানসভায় কংগ্রেসের এক মাত্র বিধায়ক ছিলেন বায়রন বিশ্বাস। ফলে দলত্যাগ বিরোধী আইনের আওতায় বায়রন পড়বেন না।
কংগ্রেসের বিধায়ক জোড়-ফুল পতাকা হাতে ধরার পর সোমবার বায়রন বিশ্বাসকে পাশে বসিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রামধনু জোটের নির্যাস শূন্য। কংগ্রেস সিপিএম জোটে বিজেপির লাভ হয়েছে। বাংলায় বিজেপিকে শক্তিশালী করতে চাইছে কংগ্রেস। আমরা ভাঙার নয়, গড়ার খেলায় বিশ্বাস করি। বায়রন বিশ্বাস বিজেপির বিরুদ্ধে কাজ করবে।'
ঘাস-ফুলের পতাকা হাতে নিয়ে কী বলছেন বায়রন বিশ্বাস? বিধায়ক বলেন, 'আমার জয়ের নেপথ্যে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা নেই। আমি তো তৃণমূলেরই ছিলাম। দুর্ভাগ্যবশতন টিকিট পাইনি। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে না। অধীর চৌধুরী বিজেপির কোনও কাজের প্রতিবাদ না করে, সোচ্চার না হয়ে শুধু তৃণণূলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। এটা মেনে নেওয়া যায় না।'
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হয়েছিল সাগরদিঘি বিধানসভায় উপনির্বাচন হয়েছিল। ওই আসনে বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল কংগ্রেসের বায়রন। ২ মার্চ সাগরদিঘি উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। দেখা যায়, তৃণমূলকে হেলায় হারিয়ে সাগরদিঘিতে জয় পায় কংগ্রেস। এই জয় ঘিরে কংগ্রেস, বাম শিবিরে নয়া উদ্যম লক্ষ্য করা যায়। বিধানসভাতেও খাতা খোলে হাত শিবিরের।
এরপর বায়রনের শপথ নিয়ে জলঘোলা হয়। জয়ের ২০ দিন বাদ বিধানসভায় বিধায়ক হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। বিধায়ক হওয়ার পর তৃণমূলের ধুলিয়ান টাউন সভাপতিকে 'অশ্রাব্য গালিগালি' এবং 'প্রাণনাশের হুমকি'র অভিযোগ ওঠে কংগ্রেস বিধায়ক বায়রনের বিরুদ্ধে। একটি অডিয়ো ক্লিপকে হাতিয়ার করে এই অভিযোগ করে তৃণমূল। ওই ক্লিপে শোনা যাচ্ছিল, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় জৈনকে গালাগালি করছেন এক ব্যক্তি। তৃণমূল নেতা সঞ্জয়ের দাবি করেছিলেন ওই ব্যক্তি সাগরদিঘির বিধায়ক।
এসবের মধ্যেই বায়রন বিশ্বাস একবার দাবি করেছিলেন যে, বিজেপি নয়- তৃণমূলের সমর্থনের জয় হাসিল করেছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত তৃণণূলের যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক।