ফের খুন। ফের সেই মুর্শিদাবাদ। এবার এক কংগ্রেস কর্মী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। বেধড়ক মারে প্রায় জ্ঞান হারানোর জোগাড় হয় বৃদ্ধের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় ওই বৃদ্ধার। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ উঠেছে। যদিও এব্যাপারে পাল্টা প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।
পঞ্চায়েত ভোট মিটে যাওয়ার পর তিন সপ্তাহ কেটে গেল। এখনও থামছে না সন্ত্রাসের রাজনীতি। গত দু'দিনে ফের ঝরল তিনটি প্রাণ। এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে খুন কংগ্রেস কর্মী বৃদ্ধা। বছর ৬৫-র ওই বৃদ্ধাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় সূত্রের দাবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুীরর নামে কেউ বা কারা 'কু কথা' বলছিল।
আরও পড়ুন- মারাত্মক মদন! রাজ্যপালকে ভয়ঙ্কর আক্রমণ কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের
তারই প্রতিবাদ করেন ডোমকলের কংগ্রেস কর্মী ওই বৃদ্ধা। এরপরেই বৃদ্ধাকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ২ দিনে রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বলি হলেন ৩ জন। গত শুক্রবার রাতে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার বীরপুর ১ পঞ্চায়েতের সারবাড়িতে এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থককে খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে বাড়ি ফেরার পথে খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য।
আরও পড়ুন- অদম্য চেষ্টায় অভাবনীয় কীর্তি যুবকের! তাক লাগানো শিল্পকলায় মুগ্ধ সকলে!
সব মিলিয়ে নির্বাচন মিটে গেলেও মিটছে না সন্ত্রাস। জেলায়-জেলায় রাজনৈতিক হানাহানি কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। শাসক থেকে বিরোধী, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের বলি হচ্ছেন সব দলের কর্মী-সমর্থক। এদিকে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই সন্ত্রাসে রাজ্যপালকে নিশানা করেছেন তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক মদন মিত্র।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম নির্দেশ: বেনিয়মের চাকরি গেল হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যার
সংবাদমাধ্যমে সিভি আনন্দ বোসকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকর্মীদের খুন করতে উসকানি দিচ্ছেন রাজ্যপাল। রাজ্যপালের কাছে বিজেপি নিজের ছেলে, তৃণমূল সৎ ছেলে। পঞ্চায়েতে বিপুল ভোটে জিতেও খুন হচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তৃণমূল নিজেদের লোককে মারছে না। তৃণমূলকর্মীদের মারতে রাজ্যপালের উসকানি। রাজ্যপাল মণিপুরে না যেতে পারেন, মগরাহাটে যান।’