দিঘার মুকুটে আর কয়েকমাসের মধ্যেই জুড়তে চলেছে নয়া পালক। সমুদ্রনগরীতে আর কয়েক মাসের মধ্যেই জগন্নাথ মন্দিরে দ্বারোদঘাটন হতে চলেছে। এই মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগোচ্ছে মন্দির তৈরির কাজ। একগুচ্ছ দক্ষ শ্রমিক প্রাণপাত পরিশ্রমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দিঘায় জগন্নাথ ধামের দরজা খোলা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। মন্দির তৈরির কাজ খতিযে দেখে গেলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
রাজ্যের অন্যতম প্রধান পর্যটনকেন্দ্রের তালিকায় দিঘা শীর্ষে। পর্যটকদের মনোরঞ্জনে ইতিমধ্যেই দিঘায় একগুচ্ছ উন্নয়নের প্রকল্প হাতে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই যার বেশ কয়েকটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন হয়েছে। দিঘাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলতে সমুদ্রনগরীতে জগন্নাথ মন্দির তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই সমুদ্রনগরীতে সেই মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণ করেছেন আগামী বছরের এপ্রিল মাসে দিঘার এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে।
মন্দির তৈরির কাজ খতিয়ে দেখলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন, দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- তাকলাগানো প্রযুক্তিই ঢাল! সুন্দরবনে শুরু বাঘ সুমারী, নতুন রেকর্ডের আশায় বনদফতর
সেই মতো কাজও এগোচ্ছে জোরকদমে। জেলা সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মন্দির তৈরির কাজ খতিয়ে দেখে গিয়েছেন। পালা করে রাজ্য সরকারের শীর্ষকর্তারা দিঘায় এসে মন্দির তৈরির কাজ দেখে যাচ্ছেন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এগোচ্ছে মন্দির তৈরির কাজ।
আরও পড়ুন- শীতে দার্জিলিংয়ে ঘুরতে যাচ্ছেন? এবার খসবে বেশি টাকা, কী সিদ্ধান্ত পুরসভার?
দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক্সিকিউটিভ অফিসার সৈকত হাজরা জানান, জগন্নাথ মন্দিরের কাজ কতটা হয়েছে বা এখন কোন পর্যায়ে কাজ রয়েছে তা দেখতেই তাঁরা এসেছিলেন। মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পাশাপাশি শ্রমিক ও নির্মাণ সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেছেন। দ্রুত যাতে মন্দির তৈরি কাজ শেষ হয় তার দেখভালে এবার থেকে প্রতিমাসে একবার করে দিঘায় আসবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব দেবাশিস সেন।