এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শনিবার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে উত্তাল হয় রাজ্য রাজনীতি। গ্রেফতার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ও। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি টাকা, ৫০ লক্ষ টাকার সোনাদানা, প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সম্পত্তির দলিল পাওয়া গিয়েছে। এই গ্রেফতারির পরই শাসকদলকে আক্রমণ করতে পথে নেমেছে বিজেপি। তারই মধ্যে কাঁথিতে অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার আয় বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় গ্রেফতার।
কাঁথি পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ বেরার বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠেছে। কাঁথি থানার তদন্তকারী অফিসার এবং জেলা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। শনিবার অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ারকে আদালতে তোলা হয়। তাঁকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। কিন্তু জেলার বিশেষ আদালতের বিচারক সুপর্ণা রায় অভিযুক্ত দিলীপ বেরাকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
এর আগে শ্মশান দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ায় দিলীপ বেরার। সেই সময় তাঁকে পুরসভা থেকে সাসপেন্ড করেন বর্তমান পুরপ্রধান সুবলকুমার মান্না। জানা গিয়েছে, দিলীপের সম্পত্তির পরিমাণ ৩ কোটি ১৯ লক্ষ টাকার বেশি। একজন ইঞ্জিনিয়ারের কাছে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়ে চোখ কপালে তদন্তকারী অফিসারদের। ১৯৯৭ সাল থেকে কাঁথি পুরসভায় কর্মরত দিলীপ বেরা। অধিকারী ঘনিষ্ঠ হওয়ায় বদলি হতে হয়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন ‘একটি প্রজন্মের চোখের জল বৃথা যাবে না’, পার্থ গ্রেফতারিতে টুইট শুভেন্দুর
তাঁর কর্মজীবনে দিলীপ প্রথমে শিশির অধিকারী এবং পরে শুভেন্দু অধিকারীকে পুরপ্রধান হিসাবে পেয়েছিলেন। ২০১১ সাল থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে সৌম্যেন্দু অধিকারী। কাঁথি পুরসভার পথবাতি প্রকল্প নিয়ে আগেই দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। সম্প্রতি সৌম্যেন্দুর নাম জড়ায় শ্মশান দুর্নীতি কাণ্ডে। কিন্তু হাইকোর্ট থেকে রক্ষাকবচ পেয়েছেন তিনি। এবার গ্রেফতার হলেন তাঁরই ঘনিষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ার। দিলীপ বেরার কাছে এত সম্পত্তি কোথা থেকে এল তা তদন্ত করছে পুলিশ।