রাজ্যেরই একটি স্কুলের দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্ন রীতিমতো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই প্রশ্নে শুভেন্দু ও নওশাদের যৌথ ব্যবসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। সেই প্রশ্নে একজনের ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে প্রশ্নে কোনও পদবি ব্যবহার করা হয়নি। তা হলেও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও বিরোধী দলের একজন দাপুটে বিধায়কের নাম করে পরীক্ষার প্রশ্নে উল্লেখে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল বরাবরই আইএসএফ-এর সঙ্গে বিজেপির যোগসূত্র রয়েছে বলে সুর চড়ায়। এমনকী বিভিন্ন সময় বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর মধ্যে আঁতাতেরও অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে শাসকদলকে। গত মাসেই মিটেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে তোলপাড় পরিস্থিতি তৈরি হয়। নির্বাচন ঘিরে খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি দেখেছে বাংলা।
নির্বাচনে সন্ত্রাসের দায় বিরোধীরা যেমন শাসকের উপর চাপিয়েছে, তেমনই শাসক শিবিরও যাবতীয় অশান্তির দায় চাপিয়েছে বিরোধীদের উপর। সেই অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের পর্ব এখনও জারি রয়েছে। ঠিক এই আবহে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের গোকুলনগর পঞ্চায়েতের মহেশপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির অঙ্কের প্রশ্নপত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ওই প্রশ্নপত্রের একটি প্রশ্নে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীর নামের উল্লেখ আছে।
ওই প্রশ্নে বলা হয়েছে, শুভেন্দু ও নওশাদ যথাক্রমে ১৫০০ এবং ১০০০ টাকা দিয়ে একটি যৌথ ব্যবসা শুরু করে। এক বছর পর ব্যবসায় ৭৫ টাকা ক্ষতি হলে শুভেন্দুর ক্ষতি হয়, (৪৫ টাকা, ৩০ টাকা, ২৫ টাকা, ৪০ টাকা)। অর্থাৎ শুভেন্দুর ওই ব্যবসায় ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের জনপ্রিয় দুই রাজনীতিবিদের নাম স্কুলের প্রশ্নপত্রে উল্লেখে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে।