হাড়হিম করা হত্যালীলা কোচবিহারের শীতলকুচিতে। শুক্রবার ভোরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে চড়াও দুষ্কৃতীরা। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ তৃণমূল নেতা, তাঁর স্ত্রী ও মেয়েদের। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তৃণমূল নেতা, তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যা স্ত্রী ও এক মেয়ের মৃত্যু। দম্পতির আরও এক মেয়ের অবস্থাও অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। কোচবিহার হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুণী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোর ৫টা নাগাদ কোচবিহারের শীতলকুচিতে তৃণমূল নেতা বিমল বর্মনের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। বিমল বর্মন শীতলকুচি ব্লকের তৃণমূলের এসসি সেলের সভাপতি। তাঁর স্ত্রী নীলিমা বর্মন শীতলকুচি পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই দম্পতি ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা বাড়িতে ঢুকে চারজনকেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে শুরু করে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। তাঁদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
আরও পড়ুন- চৈত্রের দাবদাহে পুড়ছে বঙ্গ, এবার ‘লু’ বইতে পারে একাধিক জেলায়
ভ.ঙ্কর এই কাণ্ড দেখে তুমুল আতঙ্কিত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। তবে এরই মধ্যে ধাওয়া করে এক দুষ্কৃতীকে প্রতিবেশীরা ধরে ফেলেন। বাকিরা পালিয়ে যায়। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন স্থানীয়রা। এদিকে, আক্রান্ত চারজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিমল বর্মন ও তাঁর স্ত্রী নীলিমা বর্মনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
তাঁদের দুই মেয়েকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহার হাসপাতালে। সেখানে রুনু বর্মন নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। বাকি একজনের অবস্থাও সংকটজনক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। এদিকে নৃশংস এই হত্যালীলার কারণ নিয়ে এখন ধন্দে পুলিশ। ব্যক্তিগত কোনও আক্রোশের বশেই এই খুন নাকি এর পিছনে রাজনৈতিক শত্রুতা রয়েছে ? সব দিক খতিয়ে দেখে ঘটনার তদন্ত করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত বর্মা জানিয়েছেন, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সব দিক নজরে রেখেই তদন্ত চলছে।