কিছুতেই এড়ানো যাচ্ছে না রক্তস্নান। এবার ঘটনাস্থল কোচবিহারের দিনহাটা। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ। শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ পরিবারের। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফের খুন। পঞ্চায়েত ভোট হতে এখনও ঢের দেরি। তার আগে বাংলায় মৃত্যু মিছিল। এবার বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল। দিনহাটার কিশামত দশগ্রামের টিয়াদহ এলাকার বাসিন্দা শম্ভু দাস। তাঁর বউদি বিশাখা দাস এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির হয়ে লড়াই করছেন। শম্ভু দাসের পরিবারের সদস্যদের দাবি, শনিবার রাতে হঠাৎ তাঁদের বাড়িতে আসেন কয়েকজন।
আরও পড়ুন- কলকাতার কাছেই হাড় হিম কাণ্ড! পুজো সারতেই এটা কী ঘটল একাকী বৃদ্ধের সঙ্গে!
ওই ব্যক্তিদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান শম্ভু। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পরেও তিনি ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে দেন বাড়ির লোকজন। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় শম্ভু দাসকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন তার পরিবারের সদস্যরা। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল বলে দাবি।
আরও পড়ুন- শুভেন্দু-গড়ে শুরুতেই ল্যাজেগোবরে তৃণমূল! মনোনয়নেই হাসি চওড়া পদ্ম শিবিরের
তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, নৃশংস এই খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূলের দিকেই। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই শম্ভু দাসকে খুন করেছে বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- ভোট সন্ত্রাসে বিচলিত রাজ্যপাল, নাগরিক স্বার্থে নিলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ!
পঞ্চায়তে নির্বাচন যত এগোচ্ছে ততই বাড়ছে হিংসা, মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু রক্তস্নান। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষমার পরের দিনেই খড়গ্রামে খুন হন এক কংগ্রেস কর্মী। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত ভোট-হিংসার বলি হয়েছেন কমপক্ষে ৭ জন। বর্তমানে মনোনয়নের স্ক্রুটিনি পর্ব চলছে।