Advertisment

এসেছিলেন রথ দেখতে, ঘুরে গেলেন রাসের মেলা

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই বলেছিল, কোচবিহারের রথে শুধু মদনমোহন ঠাকুরই উঠবেন, আর কেউ নয়। আপাতত হাইকোর্টের রায়ের জেরে বিজেপির রথে কেউ চড়তে পারেনি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাসের মেলায় চপ, বেগুনি থেকে শুরু করে গাড়ির বাজারও আছে, আছে নানান কেনাকাটার সামগ্রী (ছবি- শশী ঘোষ)

রথের স্বাদ মিটল রাসযাত্রায়। বিজেপির রথযাত্রা হল না কোচবিহারে, কিন্তু রাসযাত্রার মেলা দেখে বাড়ি ফিরলেন অনেকেই। এত বড় রাসের মেলা এরাজ্যে খুব একটা হয় না বললেই চলে। সেই রাসের মেলা শুক্রবারও ছিল ভিড়ে ঠাসা। তৃণমূল কংগ্রেস আগেই বলেছিল, কোচবিহারের রথে শুধু মদনমোহন ঠাকুরই উঠবেন, আর কেউ নয়। আপাতত হাইকোর্টের রায়ের জেরে বিজেপির রথে কেউ চড়তে পারেনি। মদনমোহনের শহরে রাসযাত্রাই চলছে জোরকদমে। এই মন্দিরকে ঘিরেই শতাব্দী প্রাচীন রাসের মেলা বসে এই শহরে।

Advertisment

বৃহস্পতিবার আদালতের রায়ের পর শুক্রবার সকাল থেকে বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। দফায় দফায় একান্তে কথা বলেন দলের দুই শীর্ষনেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় ও মুকুল রায়। কোচবিহারের এক হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে একযোগে হাজির ছিলেন ওই দুজন ছাড়াও রাহুল সিনহা, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বাবুল সুপ্রিয় সহ অন্যান্যরা। ঠিক তখনই মাঠে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পরে অন্য নেতৃত্বও সভাস্থলে যান। তবে প্রথাগত সভা আর হয়ে ওঠেনি। সৌজন্যে হাইকোর্টের শুনানি।

তবে রথযাত্রা বা অমিত শাহর সভা না হলেও বেশ কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন ঝিনাইডাঙ্গার মাঠে। কারণ তাঁরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। বাস বা অন্যান্য যানবাহন অগ্রিম বলে রেখেছিলেন। এমনকী সভার মঞ্চ বাঁধা থেকে সমস্ত কাজই সম্পূর্ণ ছিল। শুধু ছিল আদালতের রায়ের অপেক্ষা। এর ফলে শক্তি পরীক্ষায় কিছুটা হলেও নম্বর দাবি করতেই পারেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।

publive-image রথযাত্রা বা অমিত শাহর সভা না হলেও বেশ কয়েক হাজার বিজেপি কর্মী-সমর্থক এসেছিলেন ঝিনাইডাঙ্গার মাঠে (ছবি- শশী ঘোষ)

এদিকে দলের রাজ্য সভাপতি বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট বলেছিলেন সভা হবে, কিন্তু আদালতের রায়ের ওপর নির্ভর করবে রথযাত্রা। পরে কৈলাশ বলেছিলেন, আদালতের রায়কে মান্যতা দিতেই হবে। শুক্রবার সাংবাদিকদের কৈলাশ জানিয়ে দেন, সভা হওয়া নিয়ে দিলীপবাবু তার আগের দিন কিছু বলেননি। এই বৈঠকে অবশ্য রাজ্য সভাপতি ছিলেন না। কিন্তু দলের মধ্যে যে সংযোগের কিছু খামতি রয়েছে, তা দুই নেতার বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার।

যাই হোক, রথযাত্রা হয়নি তো কী হয়েছে, রাসের মেলায় ভিড় জমান অনেকেই। রাসমেলায় কেনাকাটা করে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। মাথাভাঙা থেকে এসেছিলেন প্রসেনজিত বর্মণ, জয় দেব। এঁরা রাসযাত্রায় ঘুরে বেড়ালেন। এই রাসের মেলায় চপ, বেগুনি থেকে শুরু করে গাড়ির বাজারও আছে, আছে নানান কেনাকাটার সামগ্রী। নানা ধরনের জিলেপি, হরেকরকম হস্তশিল্পের সম্ভার। এমনকী সার্কাসও।

রাজ্যের গ্রামীন মেলার তালিকায় কোচবিহারের রাসের মেলার যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। প্রতি বছরই এই মেলা বসে। জেলাবাসী মেলার অপেক্ষায় থাকেন। দূরদূরান্ত থেকে লাখো লোক আসেন। এযাত্রায় রথ না চললেও রাসের ভিড় বরং আরও বেড়েছে। এ যেন প্রকৃত অর্থেই রথ দেখা আর কলা বেচা।

north bengal tourism north bengal bjp
Advertisment