/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/06/dinhata-tmc-worker-dead.jpg)
গ্রাম থেকে বের করে আনা হচ্ছে নিহত তৃণমূল কর্মীর দেহ।
ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। পঞ্চায়েত ভোটের আগে গীতালদহের জারি ধরলা এলাকায় চলল গুলি। দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম ৭ জন। নিহত তৃণমূল কর্মী বলে দাবি শাসক দলের। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাদের কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে শাসকদলের সব অভিযোগ নস্যাৎ করেছে পদ্ম বাহিনী।। পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে এই নিয়ে প্রাণ গেল মোট ১১ জনের।
সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারে চাঁদমারি থেকে পঞ্চায়েতের প্রচার শুরু করেছেন। আজও উত্তরবঙ্গে তাঁর সবা রয়েছে। তার মধ্যেই দিনহাটায় গুলি চলল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে, সীমান্তবর্তী জারি ধরলা গ্রামে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে অশান্তি ছড়িয়েছিল। গীতালদহে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তাতেই বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- বক্সির ফোনে আপাতত নিরস্ত হুমায়ুন, তবুও দাবিতে অনড় ‘বিদ্রোহী’ তৃণমূল বিধায়ক
দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এদিনের হিংসা ও মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেন, 'ওপার থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বিজেপি। বিজেপির কয়েক জন নেতা, মন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্য এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে দুষ্কৃতীদের এনে রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। জারি ধরলা এমন এলাকা যেখানে বিএসএফের নজর ছাড়া কিছু হওয়া সম্ভব নয়। তার পরেও এই ধরণের আক্রমণ হল। বাংলাদেশ সীমান্তের একেবারে কাছে এ রকম ঘটনা ঘটল। বিএসএফ কী করছিল?'
কোচবিহারের বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় তৃণণূলের অভিযোগ উড়িয়ে বলেন, 'দিনহাটার গীতালদহে জারি ধরলা এলাকা সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। যেখানে প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কারবার চলে। ওই জায়গায় আমাদের সংগঠন একেবারে নেই বললেই চলে। বর্তমানে কয়েক জন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই। বরাবরই ওই এলাকায় তৃণমূলের সংঘর্ষ লেগেই থাকে। খুনের পিছনে হয়ত কোনও চোরাচালান কারবারের যোগ থাকতে পারে বা এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল হতে পারে।'
এএসপি সনিরাজ বলেছেন, 'বাংলাদেশ থেকে অপরাধীদের নিয়ে এসে এই কাণ্ড ঘটানো হতে পারে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।' রাজ্য নির্বাচন কমিশনও দিনহাটার ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছে।