কথা রাখলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। রবিবারই দুর্ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বুধবার থেকে ফের স্বাভাবিক চলাচল শুরু হবে। সেই মত মঙ্গলবারই দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়ে দিল, বুধবার থেকে ফের চাকা গড়াবে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের। এই ব্যাপারে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন যে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবার বিকেলেই শালিমার স্টেশন থেকে করমণ্ডল এক্সপ্রেস ছাড়তে চলেছে। বিশেষ কিছু না-হলে, সময়টাও অপরিবর্তিত থাকবে।
গত শুক্রবার করমণ্ডল এক্সপ্রেসেরই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ওড়িশার বালেশ্বরকে করে তুলেছিল মৃত্যুপুরী। রক্তে ভেসেছিল বাহানাগা স্টেশন সংলগ্ন রেলপথ। প্রাণ হারিয়েছেন অন্ততপক্ষে ২৭৮ জন। আহত এখনও ১,০০০। নিখোঁজ শতাধিক। গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেওয়া এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বালেশ্বরে ছুটে গিয়েছিলেন রেলমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে অন্যান্যরা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা সমবেদনা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন।
সেই বিভীষিকা কাটিয়ে ঠিক পাঁচ দিনের মাথায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের চাকা গড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিল ভারতীয় রেল। সেই চ্যালেঞ্জ রক্ষায় টিম বৈষ্ণো একশোয় একশো। তবে, সবটাই বুধবার ভালোয় ভালোয় সবকিছু মিটলে বোঝা যাবে। এখনও পর্যন্ত সরকারি খাতা অনুযায়ী শুক্রবারে দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ১০৩ জনই এরাজ্যের। রেল মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। ত্রাণ তহবিল থেকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা দিচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
আরও পড়ুন- করমণ্ডল দুর্ঘটনায় নিহত তিন ভাই, পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল, পাশে থাকার আশ্বাস
পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, দলগতভাবে তৃণমূলের তরফ থেকে পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। যদিও টাকার অঙ্কটাই সব নয়। এখনও মৃত যাত্রীদের অনেকের দেহ শনাক্তই করতে পারেনি ওড়িশা সরকার ও ভারতীয় রেল।