মঙ্গলবার রাতে পশ্চিমবঙ্গে প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর নিশ্চিত করল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এক উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, সদ্য ব্রিটেন থেকে ফেরা ১৮ বছরের এক যুবকের দেহে পাওয়া গিয়েছে COVID-19 এর চিহ্ন। মঙ্গলবার সকালেই বেলেঘাটা আইডি ও বিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে, এবং তাঁর নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় কলকাতার NICED-এ।
ওই আধিকারিকের কথায়, "পরীক্ষার রিপোর্ট আসে সন্ধ্যাবেলা, এবং ফলাফল পজিটিভ।" বর্তমানে আইডি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে সরানো হয়েছে রোগীকে। চিকিৎসকদের নজরদারিতে রয়েছেন তিনি। যুবকের বাবা-মা এবং ড্রাইভারকে রাজারহাটে সদ্য খোলা বিশেষ কোয়ারান্টিন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে, যেখানে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: করোনায় ভয়ডরহীন পার্কসার্কাস শামিল ‘বাঁচার লড়াইয়ে’
উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাসকারী ওই যুবক কিছুদিন আগেই কলকাতায় ফেরেন, তবে শহরে পৌঁছনোর পরেই তাঁকে নিয়ম মেনে থার্মাল স্ক্রিনিং করলেও সেসময় তাঁর দেহে করোনাভাইরাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তা সত্ত্বেও নিয়ম মাফিক 'হোম কোয়ারান্টিন'এ পাঠানো হয় তাঁঁকে। ব্রিটেনে তাঁর বন্ধুবান্ধবের COVID-19 সংক্রমণের খবর পেয়ে নিজেই মঙ্গলবার সকালে আইডি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ব্রিটেনে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে একটি জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে যুদ্ধকালীন তৎপরতা
ওই উচ্চপদস্থ স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, "মৃদু সংক্রমণ পাওয়া গেছে, তবে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আপাতত শারীরিক লক্ষণ সবই স্থিতিশীল। তবে আমরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছি না। ওকে আপাতত বিচ্ছিন্ন করেই রাখা হয়েছে, এবং আবারও একবার নমুনা পরীক্ষা করানো হবে।"
রাতের দিকে এক বিবৃতিতে ওই যুবকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বিবৃতিতে বলা হয়, "এখন পর্যন্ত COVID-19 কবলিত দেশগুলি থেকে ১২,২৪৪ জন সফরকারীকে চিহ্নিত করে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৪৮ জনের ক্ষেত্রে নজরদারির সময়সীমা শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি ১১,৯৭৮ জনকে গৃৃৃৃহ নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত COVID-19 পরীক্ষার জন্য পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি (NIV), ও কলকাতার ICMR-NICED এবং IPGMER-এ মোট ৭০টি নমুুনা পাঠানো হয়েছে। একটি নমুনা পজিটিভ প্রমাণিত হয়েছে। অবশিষ্ট ৬৯টি নমুনা নেগেটিভ। নজরদারিতে থাকা সকলের শারীরিক অবস্থাই এখন পর্যন্ত স্বাভাবিক।"
Read the full story in English