লকডাউনের শুরু থেকেই করোনা নিয়ে সচেতন করতে উদ্য়োগী হয়েছিলেন তারক দাস। সঙ্গী স্কুটার ও মাথার হেলমেটও আপনাকে সচেতন করবে করোনা নিয়ে। বুধবারের লকডাউনে মূলত বারাসত ও মধ্য়মগ্রামের অলিগুলি ৬ ঘণ্টা ঘুরলেন ওই চিত্র শিল্পী। এর আগে "সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ" নিয়েও তিনি কাজ করেছিলেন।
বুধবার লকডাউনে ছিল সর্বাত্মক বনধের চেহারা। রাস্তায় বের হলেই যেখানে রেরে করে উঠছে পুলিশ। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলেই যখন আইন অনুযায়ী ব্য়বস্থা নিচ্ছে বা বাড়ি ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে। ঠিক তখন কড়া লকডাউনেও পুলিশ স্বাগত জানাচ্ছে চিত্র শিল্পী তারক দাসকে। তারকবাবু বলেন, "পুলিশ আমাকে বলছে আপনি খুব ভাল উদ্য়োগ নিয়েছেন। আমাকে গাইড করছে। বলছেন ওমুক গলিতে যান। কেউ কেউ আমার সঙ্গে ছবিও তুলছেন।"
আরও পড়ুন- শিয়ালদা স্টেশনকে লকডাউনের পর আর চিনতে পারবেন না!
৩৫ বছরের তারক দাস করোনা সচেতনতা বাড়াতে নিজের স্কুটার ও হেলমেটেই রং-তুলি ধরেছেন। পুরো স্কুটারেই এঁকেও ফেলেছেন। এঁকেছেন হেলমেটও। লাল-সাদা রঙে। তাতে করোনা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশাবলী ও করোনা ভাইরাসের ছবি রয়েছে। বুধবার লকডাউনের মধ্য়ে বারাসত ও মধ্য়মগ্রামের অলিগলি, তস্য়গলি ঘুরেছেন তারকবাবু। যেখানে মানুষ আড্ডা জমিয়েছেন সেখানে তাঁদের বুঝিয়েছেন। তিনি বলেন, "লকডাউনে বলেছি বাড়িতে থাকুন। অন্য় দিন বাইরে বের হলে মাস্ক পরুন। মূল মন্ত্র আমি স্কুটারে এঁকেছি। ডাক্তার বা পুলিশ নয়, আমাদেরও সচেতন থাকতে হবে।" তাঁর উদ্দেশ্য় করোনার বিধিগুলো যেন মানুষ মেনে চলে।
বুধবার লকডাউনে পথে একাকী শিল্পী। ছবি- শশী ঘোষ
লকডাউনে বারাসতে চাঁপাডালি মোড়ে দেখা গেল স্কুটারে করে ঘুরছেন চিত্র শিল্পী তাকর দাস। কেন ঘুরছেন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, "এদিন আমি স্কুটার নিয়ে ঘুরছি। এর মূল কারণ হচ্ছে করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়ান। এই রোগ নিয়ে অযথা ভয় পাবেন না। অনেক করোনা রোগী বাড়িতে বন্দী রয়েছে। খাবার পাচ্ছেন না। তাঁদের খাবারের যোগান দিন। সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিন।" তিনি বৃস্পতিবার ফের বের হবেন বিভিন্ন বাজারে। ভিড় এড়াতে অনুরোধ করবেন সাধারণ মানুষকে। একজন চিত্র শিল্পী নিজে ঘুরছেন মানুষকে সচেতন করতে, স্কুটারের ভোল বদল পর্যন্ত বদল করে দিলেন। এদিকে সমাজের একটা বড় অংশ মাস্ক পরছেন না। মানছেন না করোনা প্রতিরোধের নিয়ম-বিধি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন