গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই কমল। তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা। গতদিনের তুলনায় বেড়েছে করোনার প্রাণহানি। নতুন করে আক্রান্তের হার কমলেও উদ্বেগের কেন্দ্রে এখনও সেই উত্তর ২৪ পরগনাই।
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৬০৮ জন। যা আগের দিন ছিল ৪ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৮২ হাজার ৮২২ জন।
কমেছে দৈনিক সুস্থতার হার। গতদিন রাজ্যে একদিনে কোভিডমুক্ত হয়েছিলেন ১৭ হাজার ৭৩৪ জন। বৃহস্পতিবারের পরিসংখ্যানে সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১৫ হাজার ২১৬ জন। তবে শতাংশের নিরিখে বাংলায় সুস্থ হওয়ার হার উর্ধ্বমুখী (৯৬.১৬%)।
বেড়েছে অ্যাকটিভ কেস। গতদিন যা ছিল ৭.৩২ শতাংশ, তা এ দিন একধাক্কা বেড়ে হয়েছে ৯.০২ শতাংশ। ১১ হাজার ৬৪৪ জন কমে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৫৫ হাজার ৭২৫ জন।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাংলায় করোনার মৃত্যুর সংখ্যা ৩০-য়ের নীচে নামছেই না। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিডে প্রাণহানি হয়েছে ৩৬ জনের। যা গতদিনের তুলনায় ২ জন বেশি। এখনও পর্যন্ত মোট ২০ হাজার ৪৮১ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনা। এই জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৪ জন, প্রাণ গিয়েছে ১৪ জনের। অর্থাৎ এই জেলায় নতুন করে আক্রান্তের হার কমলেও গত দিনের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দ্বিগণ হয়েছে। আপাতত এই জেলার পরিসংখ্যানই স্বাস্থ্যকর্তাদের মাথাব্যথা। তালিকায় তারপরই রয়েছে কলকাতা (আক্রান্ত ৪২৩ জন, মৃত ৮), দক্ষিণ ২৪ পরগনা (আক্রান্ত ৪১১ জন, মৃত ৪), নদিয়া (আক্রান্ত ২৩২ জন, মৃত ৩), বীরভূম (আক্রান্ত ১৮২ জন, মৃত ০), জলপাইগুড়ি (আক্রান্ত ১৭১ জন, মৃত ১),
গত ২৪ ঘণ্টায় কমেছে টেস্টিংয়ের সংখ্যা। একদিনে করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪০ হাজার ১৯টি। ২৭ জানুয়ারি টিকা নিয়েছেন ৬৪ হাজার ৭৩৯ জন। তার মধ্যে ৭ হাজার ৭৭৫ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন। বাকি ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৮৮৮ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন।
এর মধ্যেই স্বস্তির খবর দিয়েছে রাজ্য সরকার। জানানো হয়েছে, ৯০০ টাকার পরিবর্তে এখন থেকে আরটিপিসিআর টেস্টে খরচ হবে ৫০০ টাকা।