দেশজুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে করোনার টিকাকরণ অভিযান। পশ্চিমবঙ্গেও নির্দিষ্ট হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে। এরাজ্যেও মোট ২১২টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা। শহর কলকাতার ১৯টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকাকরণ প্রক্রিয়া চলছে।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্য কর্মীদের। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে রাজ্যে ৬ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫০০ জনের টিকাকরণ হবে। সবথেকে বেশি ভ্যাকসিন কলকাতার জন্যই বরাদ্দ হয়েছে। শহর কলকাতায় টিকাকরণের আওতায় ৯৩ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মী।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
শনিবার কলকাতার মোট ১৯টি কেন্দ্র থেকে করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়া হয়। সরকারি হাসপাতাল ও পুরসভার হেল্থ সেন্টারগুলি থেকে দেওয়া হচ্ছে করোনার টিকা। একইভাবে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল থেকেও করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
কলকাতায় এসএসকেএম, এনআরএস, ন্যাশনাল মেডিক্যাল, চিত্তরঞ্জন সেবাসদন, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন, ডঃ বিসি রায় পিজি ইনস্টিটিউশন, বেলেঘাটা আইডি, এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল থেকে করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি পুরসভার ১১, ৩১, ৫৭, ৮২ ও ১১১ নম্বর ওয়ার্ডের পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও টিকাকরণ কর্মসূচি জারি রয়েছে।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
কলকাতার পাশাপাশি টিকাকরণ অভিযান চলছে জেলায়-জেলায়। কলকাতার পরেই সবচেয়ে বেশি ভ্যাকসিন পেয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। এই জেলায় ৪৭ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু। মুর্শিদাবাদের ২৬টি ব্লকে ৩৭ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
একইভাবে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও মোট ১৩টি কেন্দ্র থেকে ৩১ হাজার ৫০০ স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনার টিকা দেওয়ার কাজ চলছে। পূর্ব বর্ধমানের পাশাপাশি করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে পশ্চিম বর্ধমানেও। সেই জেলাতেও ১০টি কেন্দ্র থেকে টিকাকরণ অভিযান শুরু হয়েছে।
এক্সপ্রেস ফটো শশী ঘোষ
একইভাবে পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর-সহ অন্য জেলাগুলিতেও করোনার টিকাকরণ অভিযান চলছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে টিকাকরণ পর্ব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন