Covid-19 Vaccine: করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এবার বড়সড় অভিযোগ উঠল মহানগরেই। মঙ্গলবার কসবায় যে ভ্যাকসিনেস ড্রাইভের আয়োজন করা হয়েছিল সেই 'ভুয়ো ভ্যাকসিনচক্রে' কোভিড-১৯ টিকার বদলে দেওয়া হয়েছিল বিসিজি বা হামের টিকা, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান হল পুরসভার তরফে।
বুধবার ভুয়ো টিকাকরণ কেন্দ্রের ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছিলেন যাদবপুরের তৃণমূলের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কসবার ওই কেন্দ্রে তিনি টিকাও নেন। তদন্তের পর পুরসভার উদ্ধার হওয়া ভ্যাকসিনের স্যাম্পেল পরীক্ষা করে পুরসভার ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার অফ হেলথ ডাঃ রনিতা সেনগুপ্ত জানান, কসবার ক্যাম্পে ব্যবহৃত টিকায় কোনও ব্যাচ নম্বর নেই, নেই কোনও মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার তারিখ। এটি কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন কোনওটি নয়। ভায়ালে শুধু সবুজ স্টিকার লাগানো। এটা করোনার টিকা নয়। খুব বেশি হলে বিসিজি বা হামের টিকা হতে পারে।
আরও পড়ুন, কবে শেষ হবে করোনা অতিমারি? গণনা শেষে ‘বিশেষ পূর্বাভাস’ দিলেন জ্যোতিষীরা
এদিকে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই টিকা নিয়ে উদ্বেগ আতঙ্ক তৈরি হয়েছে শহরে। বেসরকারি টিকা কেন্দ্র নিয়েও নানা বিতর্ক হচ্ছে তৈরি হয়েছে। ভুয়ো টিকাকরণ শিবির নিয়ে অতীন ঘোষ বলেন, বেসরকারি ক্যাম্পে পুরসভার কোনও অনুমতি নেওয়ার নির্দেশিকা স্বাস্থ্য দফতরের নেই। কলকাতায় বিভিন্ন হাসপাতালে যে সমস্ত ক্যাম্প হচ্ছে সেখানেও কোনও অনুমতি লাগেনি। কেউ যদি দেখাতে পারে পুরসভাই সব বেসরকারি ক্যাম্প দেখার দায়িত্ব তা হলে আমি পদত্যাগ করব।
পাশাপাশি, বেসরকারি টিকা কেন্দ্র হিসেবে সিটি কলেজ, কসবায় যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের উপরই দায় বর্তেছেন অতীন ঘোষ।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনাটি নিয়ে কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুব্রত রায় চৌধুরী ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "টিকা বিসিজি না হামের বা আদৌ তা করোনা টিকা কি না, সে বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুরসভা জানিয়ে দিয়েছে। আমরা চাইব পুলিশ যেমন তদন্ত করেছে সেভাবেই এগোক। তদন্তের মাধ্যমেই জানা সম্ভব সঠিক বিষয়টি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন