রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া বেড়ে হল ১৩২। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য়ে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৭। সবমিলিয়ে মোট ৪২ জনকে ছাড়া হয়েছে বলে বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন মুখ্য়সচিব রাজীব সিনহা।
করোনা রুখতে কলকাতার বিভিন্ন দোকানে 'নো মাস্ক, নো সেল' পোস্টার দেখা গিয়েছে। এ রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্য়কামূলক করা হয়েছে। মাস্ক না পরে বেরোলে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এদিকে, লকডাউনের জেরে রাজ্য়ের আর্থিক ক্ষতি ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। করোনা আবহে লকডাউনের জেরে রোজ ৫৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হারাচ্ছে মমতা সরকার। সবমিলিয়ে ৩০ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের লোকসানের অঙ্ক দাঁড়াবে ১৭০০ কোটি টাকা। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য়ের অর্থ দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন- ভারতজোড়া নয়া লকডাউনে কীসে ছাড়, কী নিষিদ্ধ? দেখুন একনজরে
করোনায় বাংলায় বেশ কয়েকটি এলাকাকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলির মধ্য়ে হাওড়া জেলার একাংশ রয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের করোনায় ‘স্পর্শকাতর’ এলাকাগুলিতে লকডাউন কঠোরভাবে পালন করার জন্য় তৎপর হয়েছে প্রশাসন।
দেশে করোনা সংক্রমণের হার ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যে তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ১১,৪৩৯। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৩০৫ জন। মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ছুঁই ছুঁই। মৃত ১৬০ জন। এর পরেই রয়েছে, দিল্লি ও তামিলনাড়ু। অন্যদিকে, দ্বিতীয় দফার লকডাউনে গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বর্ধিত লকডাউনে কৃষি, ই-কমার্স ও নির্দিষ্ট কিছু শিল্পকাজকে ছাড়ের আওতায় রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মঙ্গলবারই দেশজুড়ে আরও ১৯ দিন লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন